অনেক ভালোবাসিতাম তুমায়, ওহে সুন্দরী
সামান্য টাকার লাগি, যদি না হইতে মাগি,
তুমারও ইজ্জত আজি ধোলায় খেতো না গড়াগড়ি,
দুদিকে দুহাত দিয়ে দুটি পদ্ম ডাকিতে গিয়ে
ডুবে গেলে তুমি অকূল ও সাগরে,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোমলপত্রে, পর্বত কি ঢাকে তাতে?
বৃথা চেষ্টা কেন করছো ওরে অবোধিনী!
নাহি লজ্জা নাহি দেহে প্রাণ, সপিলে
নিজেকে, করিলে প্রেমের দক্ষিণা দান,
তুমার ও অথই সাগরে ডুবিলাম আমি,
যে যাকে ভালোবাসে সে ত বুকে যায় আসে
আপন ইচ্ছা তে সে যে সাজে উলঙ্গিনী,
মমতায় গড়া দেববদনী, স্নেহের নবনী!
তার বক্ষ বাধন হাড়া , দুধের ঝিনুক ছাড়া!
অমৃত চুম্বন চিহ্ন রয়েছে তেমনি,
তার ওই রাঙা ঠোঁটে, সমুদ্রের জোয়ার উঠে
প্লাবিত করে সকল জড়তা, ক্লান্তি সকলি,
বক্ষ তাহার অপরূপ, স্পর্শ নিতে বড়ো ইচ্ছুক,
বাকরুদ্ধ নিবির্কার রূপের জোৎস্না তাহার
নিত্যনতুন অবতারে সে এক আনন্দ রূপিণী!
নীলনেত্র, রক্ত ওষ্ঠ, চারুচন্দ্রানন,ও
পীন উন্নত বক্ষ কতই বিশাল,
সেইদিন তাহার অমৃত তে মিটিলো আমার তৃষ্ণা
মিটিলো তাহার নগ্ন দেহের কাম-জড়তা,
সামন্য টাকার কারণে নারী, প্রেম বলে দেহ দান করি,
কি বা সুখ পাও তাহারও জীবন গড়ল করি,
ভালোবাসিতে না পাড়িলে কেন দাও বস্ত্র খুলে
কামেরও তারোনায় তোমায় মানা নাহি করিতে পারি!
কলিযুগের ভালোবাসা, মিটায় দেহের ক্ষুধা
পুরায় না মনের আশা
গল্পের বিষয়:
কবিতা