দুজন মানব মানবী জগতের সকল কাজ কেন ফেলে
একখন্ড অবসর খুঁজে নিয়ে কেন নিঃসঙ্গ নিরালায়
একে অপরকে চিঠি লিখতে বসে?
গভীরে চেপে রাখা ওদের অনুভূতিরা কোথাও কি অস্থির ডানা মেলে যায়?
একের জীবনের দারুণ আঘাতের দাগ অবলীলায়
অপরে মুছিয়ে দেয় কি স্বার্থহীন ভালোবাসায়?
আস্থার বিয়োগান্তর ঘটতে ঘটতে এইসব রোবোটিক কোলাহলে
আমার যান্ত্রিক চোখে প্রজাপতি আর প্রেম প্রায়শই ধূসর হয়ে আসে।
শীতের পাতাঝরা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে কেউ কি দৃষ্টি রাখে দ্বিতীয়জনের চোখের পাতায়?
মুখোমুখি হোক, বা পাশাপাশি- শান্তি খোঁজে কি এখনো কেবল কাছে আসায়?
বিস্ময় এই যে, খানিক ছুটি আর খানিক দমকা বাতাস পেলে
ঢেউয়ের মতন ধাক্কা দিয়ে কে যেন শুনিয়ে যায়; প্রেম কিছুতেই অর্থহীন নয়!
নদীতীরে দাঁড়িয়ে দেখি একদিকে যেমন
জলের কলতান, অন্যপারে ধূ ধূ বালি আর কাদামাটি-
তেমনি সুরে কী যেন ডেকে ওঠে মাটির ভেতর থেকে-
সুন্দর তো নয়, কেবল সোনালি প্রেমের পূজারী চাই!
নরম শিস দিয়ে ডেকে তোলে, জানায়- আছি, এইতো আছি!
যেটুকু পথ এখনো রয়েছে বাকি, তাতে বাঁচিয়ে রেখো প্রেম, আগলে রেখো সংবেদনের ক্ষয়-
তারই জোরে আমি আজও পথ হাঁটি, একান্তে প্রেমের সুরে কান পাতি।