আমার ভিতরে বাস করে আরেকজন,
স্বভাবে সে আমার থেকে ভিন্নজন।
চেহারা, আকার, বেশভূষায় আমার মতো,
পার্থক্য চিন্তাভাবনা আর কাজে যতো।
দেহের মাঝে বন্দী থেকেও দেহকে রাখে ঘিরে,
সুপ্ত দেহের সাজানো স্বপ্ন নিজের হাতে ছিড়ে।
তবুও যেন ক্ষান্ত নয় সে আরও আরও চায়,
দেহ তখন হয়ে যায় এক অকাল নিরূপায়।
স্বেচ্ছাচারী ইচ্ছেমত যা খুশি করে যায়,
অবলা দেহ কৃতদাস তার কথা শুনে যায়।
সুখ, আরাম, বিলাসীতায় দিন কাটিয়ে যায়,
দেহ দিয়ে উসুল করে চিত্তরঞ্জন নির্দ্বিধায়।
তার বিপরীতে আছে আরেকজন বসে নিরূপায়,
সেও দেখতে আমারই মতো দেখি তারে কল্পনায়।
তার মাঝে নেই সুখের চাহিদা, ভোগবিলাস ভাবনা,
পূণ্য করার দৃঢ় প্রত্যয়ে শুধু সয়ে যাচ্ছে যাতনা।
ভোগবাদী ঐ সুখী প্রেমিকের বাহুর বলে জোর,
ভেঙ্গে দেয় শত পূণ্য করার ভালবাসার ডোর।
পূণ্য আত্মা পারেনা একটুও জোর খাটাতে,
লোভী আত্মায় সমর্পণ করে যা পারে লুটাতে।।
গল্পের বিষয়:
কবিতা