রমণের আগে রমণী চাই হৃদয়
হাতের পাঁছ একখা্না আহা
পাঁজরের নিরাপদ বেষ্টনীর ভেতর
আছে যা – রক্তে ভেজা
আমার কুসুম কোমল হৃদয়;
সোহাগের ছলে
আমি ও গিয়েছি গলে
নিজের বুক নিজ হাতে ফেঁড়ে
সোহাগের তুল তুলে কলিজা ছিঁড়ে
তোলে দিতে গেলে তাহার
সোহাগের নরম হাতে
অবাক রমণী আহা
নির্বাক চোখ দু’টো কপালে তোলে
বাঁকা ঠোঁট দু’টো আরো উল্টে অধিক
অসন্তোষের চরমে উঠে গরম হয়ে বলে –
কি অসভ্যরে বাবা!
কেউ কি কাউকে কোন কিছু
এতটা অবলিলায় অযত্নে অবহেলায় দেয়?
দেবে যদি দাও –
শোভিত সভ্যতার সৌজন্য সুন্দরে সাজিয়ে
আদরে সোহাগে সুনিপুণ হাতে
কেটে কুটে টুক্রো টুক্রো করে
নুনে মরিচে হলুদে
সুগন্ধি মসল্লায় মেখে
সোহাগের নয়ন জলে ধুঁয়ে
প্রেমের উষ্ণ উত্তাপে রেঁধে
পারো না কি দিতে
কারুকার্য খচিত স্বর্ণ পাত্রে সাজিয়ে
কামনার রসালো পাতে?
সৌজন্যতা কাকে বলে
জানো না বুঝি
নাকি শেখোনি কস্মিনকালে?
বিষবাক্য বর্ষে রমণী অতঃপর
হন হন করে উল্ঠো পথে হাটে
নির্বাক আমি চেয়ে থাকি শুধু
রমণীর রমণীয় গমন পথের পানে;
শরাহত ছেঁড়া হৃদয়খানি
কষ্টে কেঁদে উঠে হয় ছলনাকাতর
আমার অজান্তে;
রমণী ফেরে না
একটি বার ও চেয়ে দেখে না
ছলনাহত হৃদয়ের যন্ত্রনা দেখে
ছলনাময়ী রমণীরা কখনো ফেরে না
ফেরতে পারে না,
ফেরার পথ বন্ধ করে রমণী
চলে গেছে যে পথে
সে পথ চলে গেছে সোজা
পুরানো ঢাকার টান বাজারে
ওখানে ওরা ভাল ব্যাবসা করে;
শরবিদ্ধ পাখির ছটফট যন্ত্রনা কি কভু
নিঠুর শিকারী বুঝে,
বুঝিলে কি তবে
যন্ত্রনা কাতর পাখির গলায় চালিয়ে ছুঁরি
রক্তে রাঙাতো ছলনার ঐ দু’টি নিঠুর হাত?