বার বার ফিরে আসে তারা হেমন্ত বসন্ত দুপুরের ধূলিউড়া পথ ধরে
শিউলী সকাল, শিউলী মালা, ঢালায় শিউলী ফুলে সাজানো ভোর
শিশিরে ভেজানো দূর্বাঘাস, মেঠো পথ, নদীর তীরে বয়সী বটবৃক্ষ।
ফিরে আসে যে মনের কাছাকাছি বারবার, হাজারবার প্রতি সন্ধ্যায়
ফিরে আসে বর্ষায় ডুবা ধানক্ষেত, ছোট ডোবা, জলে থই থই পুকুর
একশত দুই রং দিয়ে বানানো কাগজের নৌকা, হাতের তোলা ঢেউ
ডুবে আবার ভাসে, ভাসতে ভাসতে ডুবে মাঝ পুকুরের স্বচ্চ জলে।
নির্মল বাতাসে দোলানো ধানের শিষ, সোনালী দিগন্ত জোড়া মাঠ
ঢেউ খেলানো বর্ষার জল, মাছ ধরার দৃশ্য, আবিদা-খেলার মা’র
মাঠে ছাগল চড়ানো দুপুর। ঘাস ফড়িংয়ের উড়াউড়ি তীক্ষ্ণ রোদ।
হুলো বিড়ালের মুখে ইঁদুর, খরগোসের জুতো খাওয়া টিভি শো,
সিরাজ হুজুর তার মাকে তীক্ত গালাগাল ভরা বিকেল, কান্নার সুর
সব ঘুরে ফিরে চলে আসে হেমন্ত-শীত সন্ধ্যায় শৈশব মাখা সুরে।
ছইবুল্লাহ চাচার ভুলভাল নামাযের সূরা, জীন বশিভুত করা গল্প
দীপ্তির বিভাস ছড়ানো রূপালী আলোর রাত, জোনাক উড়া ক্ষণ।
রাতির সাথে প্রগাঢ় বন্ধুত্বতা, ঝিঁঝির চরম আস্ফালন ভরা ডাক
রোজ ভোরের পিঠা পুলির আস্বাদ, উদয়াস্ত পর্যন্ত হই হুল্লোড়।
এক্কা-দোক্কা প্রহর, বউছি, ডাংগুলি, হা-ডু-ডু, ফুটবল, ক্রিকেট
নিভু নিভু আলো, গা ছমছম নিকষ আঁধার, কুয়াশা টুপটাপ শব্দ
ফিরে আসে বারবার অন্তরে জাজ্বল্যমান হয়ে, না ফেরানো বেলা।
কখনো ভোরে কখনো দুপুরে কখনো বিকেলে শান্ত পরিবেশে
ফিরে সেই হারিক্যান সন্ধ্যা, ফিরাতে জানায় নি:শব্দ আহুতি।