কি জানি, কি ছিলোনা!
কি নেই, নেই করে টুপ্টাপ জল ভরা পুকুর হয়ে গেলো চৈত্রের মরা এদোভুমি।
ইতি উতি চেয়ে ভাবি, বোধহয় ভালোবাসারই অভাব হয়েছিল বড্ড।
আরেকটু চোখ বুজে চাইতেই দেখি আমার কল্পনার মাঠে তোমারি বিচরণ ছিলো সর্বদা
নীল মেঘ, সবুজ ঘাস, আর এলো হাওয়ার মধ্যে যতখানি চঞ্চলতা তার সবটাই ছিলে তুমি।
কি জানি, কি হলো!
দিন শেষে খরচের খাতায় চলে গেলো ঘিরে রাখা সব সুখগুলো।
দিনমান ধরে মসৃণ আটা হওয়ার আশায় যাঁতার ভেতর নিজেদের পিষতে, পিষতে
শেষটা নামলো যখন, তখন জোছনা চলে গেছে মেঘেদের তলে।
তাও বলি মেঘ নামলো বুঝি!
দেখি ধুর ছাই ঝড় আসে,
মেঘ উড়িয়ে নিয়ে যায় সে অন্য দেশে,
আর আমাদের ডুবিয়ে দেয় ধুলোর রাজ্যে!
তারপর, আমাদের শান্ত পুকুর
তার জলে ধীরে ধীরে থেমে যায় আমাদের বিচরণ!
দুটি মুখ দুপাশে ফিরে রাত ভোর হতে থাকে আর বাড়ে রৌদ্রের প্রকোপ,
জল কমতে কমতে একসময় তলানিতে পৌঁছায়।
না, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির অভ্যাস আমাদের ছিলোনা কখনও,
আর তাইতো, আমরা দুজনেই থেমে যাই।
আমাদের যত বিচরণে মুখরিত ছিলো পুকুরের ধার,
তা কেবলি দ্যাখে খরতাপে ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া আমাদের মন।