যাচ্ছি বলেও থমকে থাকি,
তোমার গায়ে রোদ পড়েছে সোনার বরণ,
তোমার চুলে, তোমার ঠোঁটে,
আলোয় ছায়ায়, ইচ্ছেপাখি
আবার ডাকে পালিয়ে যেতে –
তাই জন্য, যাচ্ছি বলেও দাঁড়িয়ে থাকা
বাধ্য হয়ে, মুগ্ধ চোখে
দৃষ্টিসুখের আঁজলা পেতে,
কেউ বোঝে না নিছক কত
মুহূর্তরা, আদর ভরাট মুহূর্তরা,
গড়িয়ে পড়ে, বৃষ্টিবেলায়
শরীর ঘিরে জলের মতো…
মুহূর্তরা, আঙুল ছেড়ে,
‘ভুলবি না তো?’, ‘ভুলবি না তো!’, বলতে বলতে
সনিঃশ্বাসে উধাও হলে
তবেই চোখে পলক পড়ে
বুকে অথৈ ঘুরপাক খায়
কাজলনদী, উথালপাথাল, ফিরব তবে
মুখ ফিরিয়ে কেমন করে!
একপলকে তাকিয়ে থাকায়
এক দু ফোঁটা কান্না মেশে।
তোমার চোখের আড়াল দিয়ে, আবার দেখি,
জলপ্রপাত দুপুরবেলা,
ট্রেন চলে যায় নিরুদ্দেশে…
এমন কত ঊনিশ বিশ,
আমিই শুধু একলা জানি। কারণ, তোমার
দুচোখ থাকে ফোনের দিকে,
তাই বোঝ না; কি ভাগ্যিস্!
গল্পের বিষয়:
কবিতা