গল্পের শেষ কি হবে?
কেউ কি বলতে পারো!
নাকি অজানায় রয়ে যাবে-
আজন্ম অন্ধকার ঘরে।
জীবনের কঠিনতম মুহুর্তে-
নিজের অজান্তেই ভেবে যাই,
গল্প কি শেষ হবার পথে ;
নাকি সবেমাত্র সূচনা হলো!
শেষ হয়েও শেষ হয়নি,
প্রদীপের বাতির মতো জ্বলছে-
আর জ্বলে যাচ্ছে হৃদয়ে,
স্মৃতি আর ভবিষ্যতের জল্পনা হয়ে।
কখনো ভেবেই মরি-
এ কি হচ্ছে, চলছে রাত-দুপুরে।
এ কি কষ্ট নাকি কষ্টের বাড়ি,
বসবাসরত বন্দী পাখির যাতনা।
জীবনের সুখের পাল্লা হোক ভারী,
তাতে ক্ষতি কি!
একটি দুঃখই যে পারে,
সব মুছে দিতে এক নিমিষেই।
এ যে নিরবতা নয়,
চিৎকারে আর্তনাদ কভু ভয়।
পরাজিত সৈনিকের অকুতোভয়,
জয়ের হাহাকার নিছক অভিনয়।
পাঠ্যবইয়ের কোথাও কি আছে?
শেষ গল্পের ঠিকানা!
জল ছিটিয়ে, ফুৎকারে দিতাম,
পুড়ে যাওয়া সেই নীড়ে স্বান্তনা।
হারিয়ে যাক, যাকনা সে,
কিন্তু সেই শেষ গল্প!
আর কতোকাল কাঁদবে,
জ্বলবে মরনের অগ্নিশিখায়।
ডুবন্ত মানুষের শ্বাসকষ্ট,
ঝুলন্ত জীবনে পথভ্রষ্ট।
একই সুতোয় গাঁথা-
যদিও পার্থক্য মৃত্যু আর জীবন্ত।
সেই শেষ গল্প যদি মৃত্যু হয়,
তবে আজ তাই চাই।
এই মৃত্যু যদি হাসি ফোঁটায় তাদের-
তবে হোকনা মৃত্যু, ক্ষতি কি তাতে।