একটা গল্প লেখতে যেয়ে বারবার থেমে যাই,
একটা স্মৃতিকে আঁকতে যেয়েও বারবার থেমে যাই।
হয়ে যাই দিক হারিয়ে কোন নিরুদ্দেশ পথিক,
নতুবা বিমর্ষ হয়ে নিরুপায় চিত্তে ছুটে চলি দিগ্বিদিক।
গল্পটি যে লেখতেই হবে আমাকে আমারই জন্য,
স্মৃতিটাকে যে ধরে রাখতেই স্মৃতিচারণ যে অগ্রগণ্য।
না হয় হারাতে হবে কাঙ্খিত স্বপ্নযাত্রার জটিলতা,
হারাতে হবে একগুচ্ছ ভালোবাসার মায়ামতা।
অনেক কিছুই ঘটে যায় অগোচরে, আনমনে,
কখনো কষ্টের না হয় দুঃখের স্মৃতির স্মরণে।
হৃদয়ে অনুরণিত হয় ঘটনাচক্রের দিন কিংবা রাত,
সুখের হাসিতে কখনো মত্ত না হয় দুঃখে হয়ে কাত।
পুনঃপুনঃ আবিষ্কার একই কষ্টের হুংকার,
দুমড়ে-মুচড়ে অকস্মাৎ নিঃশেষ হওয়ার ঝংকার।
এই গল্পরা, এই স্মৃতিরা সব কি বৃথা?
নাকি তারাই কষ্ট বীজে গজায় নতুন জীবিকা।
এই জীবিকা বেঁচে থাকার আর টিকে থাকার ক্ষমতা,
খাপ খাওয়ানো শত কষ্টে জীবনে আসুক যতোই রুক্ষতা।
গল্প লেখতে চাই এই কষ্ট বীজের অঙ্কুরোদগম নিয়ে,
এরপর জীবিকা, বেঁচে থাকার, জীবন সংগ্রাম নিয়ে।
গল্পটি লেখতে চাই আমি, লেখতে চাই,
একটা সুযোগ চাই কলম চালিয়ে যাওয়ার।
ক্লান্তি কিংবা অবসাদ সব ঠেলে সামনে যেতে চাই,
স্মৃতি সব একসূত্রে জড়সড় করে রাখতে চাই।।