বৈকুন্ঠ ও নরকের হিসেব রাখি না

বৈকুন্ঠ ও নরকের হিসেব রাখি না

দু’ফোটা অশ্রু আর বেদনার মতো শান্ত ক্ষত বুকে নিয়ে
অজ্ঞাত বন্দর থেকে বন্দরে ফিরছি ।
কেটেছে দুঃস্বপ্ন ঘেরা রাত, অজগরের মতো দীর্ঘ ।
ক্রুর রোদে স্বপ্নের সুনীল বীজ বুনেছি ।
ভূয়োদর্শী যুবা হয়ে মাটির প্রদীপের মতো
অথবা কেয়াফুলের মতো এক নারীর হৃদয় চেয়েছি ।
জ্ঞানের চেয়ে মহৎ এই প্রেম নিয়ে
স্নিগ্ধ নারী আসে না আগুনের মতো জ্বর হয়ে ।
বরফের কুচির মতো স্বপ্ন গুলো ঝরে যায় হিম বাতাসে ।
আমি বৈকুন্ঠ ও নরকের হিসেব কখনো রাখিনি ।

ঈশ্বরের দন্ডের অপেক্ষাও করি না ,
কিংবা তীর্থ যাত্রীর মতো পরবর্তী জীবনের
লোভের মোহেও পরিনি ।
মাইক্রোসফট, বিলগেইটস কত আহামরি নাম ।
মানুষের অভিশাপ নিয়ে ওপর তলার অমানুষগুলোর
স্ফীতোদর শুধুই বেড়ে চলছে ।

অথবা পূঁজিপতি বলে স্তূতি গায়
এই নষ্ট পৃথিবীর বাসিন্দারা ।
অর্থের নিয়ামক, ঋণদাতা বলে ওদের হাতে
পৃথিবীর সব নিয়ন্ত্রন দিয়ে দেয়া হয় ।
এই আমাদের মুদ্রাদোষ ।
প্রেম হয় কেনাবেচা ।
সুন্দর মুখ,জঙ্ঘা আর স্তন
ভেতরে অসুখ নিয়ে নারী হয় কামসহচরী ।

তারা এক নতুন পৃথিবীর জন্ম দেয়
অথবা জন্ম দেবে বলে অগ্রসর হয়
অথবা জন্ম দেয় বিকলাঙ্গ,জারজ,কিন্নর, নাগ পশু ।
আজ প্রেরনার মতো সৌন্দয্যকে ছিঁড়ে খাচ্ছে
ঐ সব জারজ সন্তানেরা ।

গল্পের বিষয়:
কবিতা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত