পশুদলও নিজ গোত্রের কাউকে হত্যা করে না।
কিংবা মেতে ওঠে না ধ্বংসের উল্লাসে।
অথচ ওরা পশু, কী মমত্ববোধ ওদের!
আর আমরা,
হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে উঠছি দিনদিন।
কিসের টানে এই অধঃপতন আমাদের?
যখন মানুষ বলে দাবী করছি নিজেদের।
একদিন স্বর্গের উদ্যান ছিল এইখানে-
ছিল শান্তির ফোয়ারা এই ভূমিতে।
অথচ আজ এখানে নরহত্যার মহোৎসব চলছে!
দিকেদিকে বেজে চলেছে অশান্তির দামামা ।
অশনি সংকেত এ কীসের?
স্বদেশ সেতো মা। পবিত্র যার মাটি।
খাঁটি সোনার মতোন। অঙ্গে করি ধারণ।
করি লালন হৃদয়ে।
সেখানে আজ খুনিদের বসবাস।
খুনির রাঙা হাতে স্তব্ধ জীবন। চারিদিকে
শুধু হাহাকার।
মুক্তি নেই কারও।
শিশু-কিশোর
নর-নারী
কিংবা বাড়ির জুয়ান ছেলে-
আসি বলে সেই যে গেল চলে
ফিরে এলো না আর!
ক্ষমতার মসনদে আজ অমানুষের দখল-
হাহাকারে মাথা কুটে মরে আম-আদমির দল।
ত্রাসে কাঁপে শাসকের সিংহাসন।
ক্ষমতার দন্ড টল-টলায়মান, দ্রোহ আজ
চারদিকে। তবু ক্ষমতার মসনদ ছাড়ে না কেউ!
ত্যাগ করে না মসনদের মোহ? সামনে দেখি
ভয়ংকর বিপদের ঢেউ।
একদিন এই ক্ষমতার দন্ডই গলার কাঁটা হবে তোর-
পথে এনে নামাবে। পাবি না পথ পালাবার।
তাই এসো হে মানব, এসো তবে মানুষ হই।
ফিরিয়ে দিই মানুষের অধিকার।
ত্যজি মিথ্যার বেসাতি আর
সকল অহংকার।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সকলের।