অমৃত কাব্য

অমৃত কাব্য

শান্তির পায়রা করে- উড়াই যদি কবিতা

বাজপাখি উড়িয়ে ওরা করে রঙ্গ ভণিতা,

কবিতাকে যদি গড়ে তুলি স্রোতস্বিনী ঝর্না

উৎসে হানা দিতে ওরা দেয় দুষ্টে ধরনা।

কবিতাকে মন থেকে কখনো ভালোবাসেনা

দুগ্ধপোষ্য শিশুদের সাথেও ওরা হাসেনা,

ধর্ষিতের আর্তনাদে যদি- কবিতারা কাঁদে

ফেৎনা পাতে ফাঁদ-কবিতাকে ফেলতে ফাঁদে।

মেঘ হয়ে কবিতারা যদি বারি হয়ে ঝরে

শস্য শ্যামলে ভরে দেয় আনন্দ ঘরে ঘরে,

শত্রুরা খাল-বিল-নদীর টুঁটি চেঁপে ধরে

আঘাত হানে কাব্য ঘরে দেশকে ধরে পরে।

গণমুক্তির ন্যায্য কথা, কবিতা যদি বলে

ভন্ডরা ফুঁসে উঠে রুখে দাঁড়ায় দলে দলে,

বর্গীদেরকে ডেকে আনে, রুখবে বাহুবলে

কবিতাকে মারতে করে পণ নিত্য কৌশলে।

শুনে রাখ পশ্চাদমুখী কুচক্রী কর্বুরেরা

কবিতারা মানেনা কোনো বাঁধা-মানেনা বেড়া,

সৃষ্টির প্রতি সৃষ্টিকণা, কবিতা দিয়ে গড়া

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি তত্ত্বে, ছন্দেই বাঁচা-মরা।

গল্পের বিষয়:
কবিতা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত