স্বপ্নেরা জলের মতো –
জীবনের বাঁকে বাঁকে
আঁকা বাঁকা পথে
নদীর মতোন ছবি আঁকে
ভেজায় ধরাত্রী – বাণে ভাসে
অকূল সাগরে মেশে
তোমার হৃদয়ের গহীন গভীরে
পাল তোলা নাও যেন
উথাল পাথাল ঢেউ তোলা সমূদ্রে;
স্বপ্নেরা জলের মতো –
সূর্যের সোনালী রোদের উষ্ণ সোহাগে
দক্ষিণের বাতাসে বাস্পীয় পাখী হয়ে
অদৃশ্য পেখম মেলে উড়ে
দূর আকাশের নীলে,
পুঞ্জীভূত মান অভিমান রাগ
শীতল বাতাসে মেঘের ভেলা ভাসে
কাক ফাটা রোদে
দু’টো হাত বাড়াতেই
কামুক মাটির মায়াবী সুখে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে তোমার বুকে
ভেজায় তোমাকে তরল সোহাগে
উষ্ণ উন্মাদ অনুরাগে ;
স্বপ্নেরা জলের মতো –
একটু সোহাগী ঊষ্ণতার অভাবে
রাগে অনুরাগে অভিমানে
কঠিন পাথরের মতো জমাট বাঁধে
বরফের পাহাড় গড়ে হৃদয়ের কোনে
দূর্লঙ্ঘনীয় হিমালয় হিম চূঁড়া
কে পারে বলো লঙ্ঘিতে-
কেউ কেউ পারে
আবার কেউ পা পিছলে খাদে পড়ে মরে
পারে যে – সে এভারেস্ট বিজয়ী বীর
বিজয় মাল্যে বরণ করে নিতে বুঝি
তুমিও থাকো অপেক্ষায় অধীর;
স্বপ্নেরা জলের মতো –
অলস শীতের সকালে
খুনসুটি শেষে ঘুম হতে জাগাতে
কেড়ে নিয়ে নকশী কাঁথা
চোখে মুখে ছিটা,
অথবা
খা খা রোদ্দুরে গ্রীষ্মের দুপুরে
মনের মাধুরী মিশিয়ে
লেবু চিনি গুলে
মাঠ থেকে ফেরা ঘর্মাক্ত মরদের হাতে
মায়াবী হাতে তোলে দেয়া
এক গ্লাস শরাবন তহুরা।
স্বপ্নেরা জলের মত
একটু বিরহে কিংবা অভিমানে
জোড় সরোবরে বেদনার ঢেউ তোলে
দু’টো গন্ড বেয়ে টপ টপ করে
ঝরে আমার হৃদয়ের রক্ত নদীতে
নদীতে রক্ত বাণ – বেদনার গান
কোন ফুলে ভাঙ্গাব ভাবি
তোমার মান – অভিমান;
স্বপ্নেরা জলের মতো আকার বিকারহীন তরল
বায়ুবীয় পাখা মেলে উড়ে আকাশে
হিমালয় পাহাড়ে শুভ্র বরফের কঠিন চাদর
গলে গলে তরল হয় –
পায় যদি একটু
সোহাগী সূর্যের উষ্ণ আদর;
স্বপ্নেরা জল হয়, বায়ু হয়
হয় হিম শীতল কঠিন পাথর,
লাল হয়, নীল হয়
সাত রঙে রঙীন হয়
হৃদয়ের মায়াবী ছায়াতে
জলের মত করে
মনের পেয়ালাতে সুধু
তোমাকেই সাজাতে।