অন্ধকার, চাপা-চাপা অন্ধকার,
তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে কিছু দীর্ঘশ্বাস।
তিন যুবক গোল হয়ে হাত ধরে হত বসে আছে।
তাদের মাঝে মাটির পাত্র হতে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
কিছুটা শান্ত যুবকটির চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা,
ঠোট চেপে ধরে যেন ব্যাথা হজম করছে।
তার ডান পাশে বসে আছে এক লম্বা যুবক, বেশ চঞ্চল।
এবং অপর যুবকটি দ্বিধান্নিত ঘোরে কি যেন খুঁজছে।
তারা আজ প্ল্যানচেট এর মাধ্যমে রানী এলিজাবেথ-কে আনবে।
চশমা পরা যুবকটির কথায় অন্য দু’ যুবক
চোখ বন্ধ করে রানীর কথা চিন্তা শুরু করে…
কিন্তু‘ কোথায় রানীর চিন্তা?
চোখ বন্ধ করা মাত্রই তাদের প্রত্যেকের চোখে ভেসে ওঠে
আজকের কেটে যাওয়া আনন্দঘন মুহুর্ত গুলো।
যা কেটেছে তাদের সবচেয়ে প্রিয়, ভালোবাসার মানুষটির সাথে।
রাতের নিস্তব্ধতাকে বাড়িয়ে দেয় ঘড়ির শব্দ,
তাদের চেতনা শক্তি ধোঁয়ার কুন্ডলিকে জমাট বাধতে সাহায্য করে।
যা ধীরে ধীরে রুপ নেয়, দীর্ঘ কেশযুক্ত এক নারীর…
সে আর কেউ নয়, তাদের প্রিয় ভালোবাসার মানুষটি