সেই একইভাবে ফিরে যাওয়া
একই পথ ধরে ফিরে যাওয়া
চোখে মুখে ভিক্ষুকের মত দুঃখ
পথে পড়ে আছে মিহিন কাঁচের মত জ্যোৎস্না
বুকের বামপাশে ছেঁড়া পকেট, হলুদ খাম
ভেতরেই চিরকুটখানা…
ছিঁড়তে গিয়ে খসখস খসখস শব্দ
ভেতরে শোনা যায় গাঢ় অভিমান-কান্না
যেন পৃথিবীময় অজস্র চিরকুট ছেঁড়া চলছে
ছেড়া পাতার শব্দ এমন নিঃসঙ্গ
সেইসব চিরকুট ছড়ানো পথ ভেঙ্গে
ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভেঙ্গে চলে যেতে
যেতে যেতে যেতে যেতে
উত্তুরে হাওয়াতে অমন স্পর্শ যেন কার যেন কার যেন কার যেন কার?
মনেও পড়ে না ঠিক যেন কার কোমল আঙ্গুল
এই কপালে, মন্দ কপালে, আমার চোখে, এই অসুন্দর চোখে
ওষ্ঠে, ওষ্ঠের উপরে এবং ওষ্ঠের নিচে
বুকের উপরে যেখানে ঘন লোম সেখানেও
যেন কার, যেন কার কোমল আঙ্গুল?
কপালে হিঙ্গুল টিপ, গোলাপরঙা হাসি
শাড়িতে অপরাজিতার মত নীলরঙ ঢেউ
পিছনে তাকাই আর দেখা যায় না
জ্যোৎস্না নেই, শুকনো দুঃখ, বোবা অন্ধকার
ছেঁড়া চিরকুটের ছড়ানো পাতার শব্দ….
সেই পথ দিয়েই ফিরে যাওয়া, ফিরে যেতে যেতে যেতে যেতে!
যেতে যেতে….