এক
—–
পাশাপাশি দু’টো মায়াবী দীঘি
জলে টলো মলো বাতাবী লেবু
জলের তরলে কি এই মন দেবো?
নিথর সরোবরে ঢেউ
নিরবে ডাকে যেন কেউ
কিছু বুঝি কিছু থাকে বাকি
বলে যায় কিছু তবু চুপি চুপি
আকারে ইঙ্গিতে জলের ছলে
এমন করে কি কথা যায় যে বলে
উড়াল পাখি উড়ে মেঘের নীলে
সাত রং আলো আকাশ চেয়ে নিলে
জলের বাতাসে রঙিন রং ধনু উঠে
হাসি খেলে তোমার অভিমানি ঠোঁটে।
পলাতকা চপলা ভীরু হরিণী
লজ্জাবনত ডাগর অপলক চাহনি
কুকিল কালো আলোকিত দু’টো মনি
জলপাড়ে মুছে দিতে জলজ গ্লানি
কাজল এঁকেছে জলের রানী
জলের ঢেউয়ে কাজল ধুয়ে
হৃদয় কেন যায় যে ছু’য়ে
বুঝিনি বুঝিনি বুঝিনি আজ ও আমি
হৃদয়ের চেয়ে যুগল দীঘির জল –
এত কেন দামি;
যুগল দীঘির জলে
পাথর হৃদয় গলে
কাঁচ ভাঙ্গা ঢেউ তোলে
মুক্তো যদি ঝরে
জলের তরলে পুস্প হয়ে ভাসে
পুস্প পেয়ে একটুখানি হাসে
অবুঝ হৃদয় ধন্য হয়ে যায়
যুগল দীঘির জলের করূণায়।
দুই
—-
জোড় দীঘি মায়া পাখি
কোথায় তাহারে রাখি
মনের মনিকোটা
সোহাগে উথলে উঠা
বুদ বুদ ভালবাসা শুধু – তোমায় দিলাম;
জলের দামে হৃদয় কেনে
প্রণয়ের বাজারে যাচাই বাচাই করে
ষোল আনায় এক রত্তি খাদ পেলে
নিলামের হাটে – ডেকে দিও নিলাম;
তবুও –
এই দেহ এই মন
জোড় দীঘি জলে
প্রণয়ের ফুলে – ভাসিয়ে দিলাম ;
ফুল পেয়ে ভুল করে
ভুলে যাও যদি
হৃদয়ে বইবে রক্ত নদী
জেনে শুনে প্রেম মেনে
রক্তের নদীতে তবুও – ঝাপ দিলাম,
এই হৃদয় তবু ও আজি – তোমায় দিলাম।