কথা নিয়ে কথা কাটাকাটি একটুখানি
গিন্নীর গায়ে উথলে উঠে গোস্বার খনি
পায়ের রক্ত পরাণ বেয়ে মাথায় উঠে
কান্না চাপায় কষ্টে আহা কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে
আষাঢ়ে আকাশ বাদলা মেঘে সাজি
হাসিখুশি মুখখানি থম্থমে আজি
ভেতরে ভেতরে আমি ও গেছি রাগী
ভয় কি আমার! নয়তো আসামী দাগী,
তবু যেন ঘূনে পোকা ভেতরে ভেতরে খুঁড়ে
বেদনার ধূলিবালি বিরহী বাতাসে উড়ে,
রাঁধে সুখে, না বাড়ে অভিমানে মনের দু:খে
সিংহ সাহসে বেড়ে খায় নিজ হাতে ঢিপ্ ঢিপ্ বুকে
বাড়তে গিয়ে ঝনঝনানিতে জানান দিই রাগ
আড়াল থেকে চেয়ে থাকে নিরবে হতবাক
ভাঙ্গি থালা, জুড়ায় জ্বালা, ভাঙ্গি কারো হৃদয়
ভাঙ্গা ভাঙ্গি ভূমিকম্পে পায় যেন কেউ ভয়
চোখের ‘পরে চোখ পরিলে চোখ ফিরিয়ে লয়
আড়ে-টারে তে-নয়নে হাওয়াই কথা কয়,
এক খাচায় দুই পাখি ভাষাহীন বোবার মত
দিন যায় সহজে যদিও রজনী হয় না গত,
কাঁথা বালিশ ভাগাভাগি দুই রুমে দুই বিছানা
পাশ খালী, জেদে তালি, দু,নয়নে ঘুম আসে না,
নি:শব্দ পায়চারী – হাটে যেন পোষা বিড়াল ছানা
কষ্টের কাহিনী প্রকাশ্যে কেহ কোনদিন বলে না,
ঘরের কথা পরের কানে বলা তো শোভা পায় না
আপন ভেবে কইলে কথা গোপন থাকে না
বলতে গেলে কষ্ট বাড়ে, আহা বাড়ে অভিমান
অপেক্ষায় থাকি – কখন শুনি সুরেলা পাখির গান।
রাগের ঘোড়া বাগ মানে না – অভিজ্ঞতায় জানি
মান ভাঙাতে আচঁল নিয়ে করি না তাই টানাটানি,
টানাটানি করলে দেখি জেদের ঘোড়ার জেদ বাড়ে
ক্লান্ত হওয়ার সময়টাতে নতুন করে ছেদ পরে,
কষ্ট হলেও ধৈর্য ধরি কখন সূর্যের তেজ কমে
চাঁদের সনে মন মিতালী – প্রেম পীড়িতি বেশ জমে।
এক দুই করে তিন দিন যায় আর তো মানে না মন
মনের ভেতর হৃদয় পুড়ে সাজে ফুলের বন
দুই বিছানা এক হয়ে যায় পাশ ফিরিয়ে শোয়
কে বলিবে আগে কথা অপেক্ষাতে রয়
দেহের সাথে দেহ লাগে – দেহ উঠে জেগে
দেহের ভাষা দেহ বোঝে অবোধ মনের আগে
ঝড় তুফানে তুমুল তাণ্ডব – বিছানাটা কাঁপে
গহীন জলে নাও ভাসিয়ে ভালবাসা মাপে,
বৃক্ষ শাখা জড়িয়ে লতা ফুটায় মনের ফুল
ফুলের কলি চুমে ঠোঁটে ভাঙ্গে মনের ভুল।