‘ছেলে–মেয়ে’ ঢাকায় থাকে
করছে পড়ালেখা/
খোঁজ খবরের তাগিদে তাই
করতে গেলাম দেখা ।
ঢাকায় গিয়েই খেলাম তখন
আচ্ছা মতোন ধরা/
আসব বাড়ি গাড়িতো নেই
বন্ধ নড়াচড়া ।
বিকল্প তাই রেলগাড়িতে
শেষ ভরসা বলে/
বিমান বন্দর স্টেশনটা
কষ্টে দেখা মেলে ।
—————————————–
বন্ধু জোটে স্টেশনে
‘সহিদুল ভাই চেয়ারম্যান’/
টিকিট কাটা , চা- কফি পান
সবই তিনিই কেয়ার নেন ।
বউ পোলাপান- শুভাকাংখী
ফোনে জিগায় কি মানে ?
আটকে পড়া প্যাসেঞ্জার তাই
যাচ্ছি কিনা ‘বিমানে’ ।
ফোনেই বলি লজ্জা তো নেই
আছি বিমানবন্দরে/
ঠিক সময়েই পৌঁছব বাড়ি
যাচ্ছিতো তার ‘অন্দরে’ ।
ঘন্টা চারেক দাঁড়ানো’তো
ইচ্ছে করে যাইনা আর/
‘নীল সাগরে’ যাব বাড়ি
নীলের দেখা পাইনা আর ।
লেটনাইটের গাড়ি লেটে
এখন যাবে কমলাপুর/
বিমানের টাইম ধরবে কিনা
যাবে ঠিকই সৈয়দপুর ।
প্লাটফর্মে যাত্রী তখন
করছে কিনা গিজগিজ/
তীল ধারনের ঠাঁইটিও নেই
মেজাজ সবার খিশমিশ।
আটকে পড়া যাত্রী তো সব
ওয়াস হলো ব্রেনটা/
স্টেশনে আসবে যখন
আস্ত গিলবে ট্রেনটা ।
ভিড়েই চিড়ে চেপ্টা তখন
এক আপিসের ম্যাসেঞ্জার/
‘টিকিট’ নিয়েই দাঁড়িয়ে যাই
‘টিকিট বিহীন’ প্যাসেঞ্জার ।