“অতঃপর নীল”
নীলের কাছে জানতে চাইলাম
বলতে পারো নীল,
আমার দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘতা কতখানি?
জবাবে বলল,আমি কি মানুষ নাকি যে মেপে বলতে পারবো
যদি রক্ত মাংসের মানুষ হতাম,
ঠিক দৈর্ঘ্য প্রস্থের হিসাব অঙ্কে অঙ্কে মিলিয়ে দিতাম।
মানুষ নই, তাই অঙ্কের হিসাবটা আমার অজানা
কিন্তু আমি পড়তে পারি, শুনতে পারি, দীর্ঘশ্বাসের কারণটা ঠিকই আমার জানা।
ভেবে দেখলাম, নীল বলতে এখন আমার শুধুই নীল আকাশ,
ড্যাপ ড্যাপ করে চেয়ে থাকে,কিভাবে এক একটা নিঃশ্বাস পড়ছে
উপর থেকেত শুধু সেটাই দেখে।
একটা সময় ছিল,যখন নীলে খুজতাম ভালোলাগা
নীল বলতে ছিল আমার সবটুকু পৃথিবী,সব ছোট খাট কল্পনা ।
নীল পোশাক, নীল ক্যানভাস আর আমার সেই নীল মলাটের ছোট খাতা,
সেই নীল পোশাকের মানুষ দেখে পাগলের মত দাড়িয়ে যাওয়া ,কখনোবা
নীল রঙের ছিটেফোঁটা দেখে পাগলের মত উচ্ছ্বাস।
আর কল্পনার জগতের কোন এক সময়ের প্রিয় মানুষরূপী কোন নীল
যার কাছে আমি হয়ত শুধুই নিলাঞ্জনা।
আজ আমার আকাশ ছাড়া বাকি সব গিয়েছে দূরে
শুধু আমি নিচে আর সে মাথার ঠিক উপরে।
মাঝে মাঝে চেয়ে থাকি নীল আকাশের দিকে,
নীল কে ভেবে প্রশ্ন করি কে তুমি? কি দেখ এমন করে?
মনে হয় দূর থেকে ভেসে আসে কিছু শব্দ,আমি শুনতে পাই
যেন বলছে,খুজতে যেওনা আমায় ,আমি নীল
আমি মানুষ নই,আমি একটা মায়া,যে মায়া কাউকে বাধতে পারেনা
হয়ত আমি শুধুই একটা আভাস,আর সেটা সত্যি না,শুধুই মিথ্যা আভাস।
বরাববরেই মতই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে নিজের অজান্তেই বলতে থাকি,
ভালো থেকো নীল।
আমার জমানো অশ্রু আমার চোখেই শুখাক
তোমাকে আর মেলাতে হবেনা দৈর্ঘ্য প্রস্থের হিসাব,
আমার দীর্ঘশ্বাসের সবটুকু দীর্ঘতা আমার কাছেই থাক……।।