শত বার দেখা হল মেয়েটির সাথে নামটি জানা নাই
নামটি জানার জন্য মেয়েটির একটু নিকট যাই।
মেয়েটির নিকট যেতেই দুর থেকে আসে রূপেরী ঘ্রাণ,
সেই মিষ্টি ঘ্রাণে মুগ্ধ আমি জুড়ায় মোর প্রাণ।
মেয়েটির নিকট না যেতেই মেয়েটি আমাকে দিল ফাঁকি,
কতবার ডাকিলাম? জল ঝড়ায় মোর দুটি আখি।
দুই দিন বিদায় জানালো সাক্ষাৎ পেলাম না তার,
তৃতীয় দিন দেখতে পেলাম মেঘনা নদীর পাড়।
দুর থেকে ডাকিলাম না তাকে চাহিলাম নিকট যেতে
কিয়ৎক্ষনের মধ্যে হাড়িয়ে গেল নদীর প্রবল স্রোতে।
আজও আমার মনের আকাঙ্খা মিটবে না যে হায়!
কেমন করে সেই মেয়েটির নামটি জানা যায়?
যেদিন মেয়েটির সঙ্গে আমার হবে পরিচয়,
সেদিন মেয়েটিকে প্রস্তাব দেবো দুজনার হতে পরিনয়।
দেখা পেলাম সুন্দরীর সাথে তাদের পুকুর পাড়ে,
নামটি যেন কি তোমার? জিজ্ঞাস করিলাম তারে।
মেয়েটি এত রূপসি! যেন তাহার অঙ্গে অঙ্গে হাঁসি
তাহার হাঁসির সঙ্গে যেন রূপ ঝরছে খসি খসি।
সুশ্রী মেয়ে নাম বলিল মুচকি হেঁসে হেঁসে,
বলিলাম তাকে সারাজীবন তুমি থাকবে আমার পাশে?
লাজ মেশা-নিলাজে চুপটি যেন সে আমার বচনে রাজি,
এক নিমিষেই যেন তাহার তনু বিয়ের সাজে সাজি।
গয়নার প্রয়োজন হয়না তাহার রঙ্গ রাঙ্গা গায়ে
গায়ের রূপ টলমল করে যেন পড়ে খয়ে খয়ে।
আজীবন যেন মেয়েটি থাকে মোর অঙ্গে জড়িয়ে,
সারাজীবন সে থাকবে পাশে চিরচেনা স্বজনী হয়ে।
হাতজোর করে দোয়া করি আমি হে খোদা দয়াময়,
আমাদের দুজনার ভালবাসা যেন সারাজীবন রয়।