ভিতরে যা আছে এর আকদরে যদি মঙ্গা, খরা –
তা নিজের জঙ্ঘা বা উরুতে
কিংবা দু’কাঠি ওপরে বল্লমের ঘাই,
দু’ইঞ্চি খোদাই উন্নাসিকতার চিহ্নও পাঠাবে
কড়োল কপালে!
পা ফেলো অবস্থা বুঝে
ডান বাম উর্ধ্ব অধঃ জুড়ে মাছি চোখে,
আর নিশানার দিকে বকের দৃষ্টিতে,
ঝাপে অনুকার থাকবে মাছরাঙার গতি।
ছুঁই ছুঁই হয়েও শিকার অধরায়
বা লক্ষ্যে ভ্রুকটি হেনে উড়ে গেছে দূরে,
নেতিয়ে পড়ো না
ভঙ্গুর খাদের কিনারায়,
মাকড়সার প্রনোদনা প্যাকেজ উঠিয়ে ঝরা মনে
ঝড় চলে যাওয়া ধানগুচ্ছের চেতনা ধারণ করো।
উজানের দ্রোহী ঢলে, বন্যার ছোবলে
বা চৈত্রের রোষানলে
কৃষকের স্বপ্নসাধ রূপ নেয় লাশে,
তাই বলে তারা সারাক্ষণ আফসোসের উবু রোগে – ?
বরং জমিতে নামে দ্বিগুণ উদ্যমে
ধুয়ে দিতে লবণ ঘাটতির পূর্বাপর;
কষ্টের সে কেষ্ট নেমে আসে ক্ষেতে ক্ষেতে।
সবার মাঝেই আছে সুনিরব বহ্নি
তা সরব করতে লাগে দৃঢ়তার শান,
সেই চর্চা-শানে শানে ঢেউ ভেঙে ওপারে পৌঁছলেই
প্রাপ্তির পরীরা এসে শোনাবেই শরবতি।