কুয়াশা ঢাকা নগরীর বিষন্ন ইতিহাস জুড়ে ছুটে চলেছো বহুকাল
যে অতীত সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছো তালু রেখায়
একমুঠো ভালোবাসার খোঁজ তাকে একদিন দীন করেছিল
সেই খোঁজ তোমায় নিয়ে গিয়ে ফেলেছিল এক কার্ফু বিছানো রাতে
নিয়নের আলোয় উদ্দেশ্যহীন হাঁটতে হাঁটতে
ভুল করে ঢুকে পড়েছিলে কোনো এক চোরাগলিতে,
হয়তো খুঁজে পাওনি বেরোনোর পথ,
নির্লজ্জ বাতাসের অশ্লীল ইশারা,
কোটি কোটি প্রেমিকের লোভ।র্তু চোখ,
তোমার প্রিয় শরীর আর তৃষ্নার্ত ঠোঁট চেটে খেয়েছিল।
‘নষ্ট হয়ে গেছো নারী, নিঃস্ব হয়ে গেছো নারী’,
সেই হাহাকার মিলিয়ে গিয়েছে চৌকিদারের হুশিয়ার ধ্বনিতে।
সেদিন তোমার গোপন যন্তনার কথা কোথাও লিপিবদ্ধ হয়নি
ততদিনে তুমি জেনেছিলে শরীর একদিন পচে যায়,
চুলে পাক ধরে, রক্তের তেজ কমে আসে, ভালোবাসায় আগাছা জমে
তুমি তাই তোমার প্রত্যাখ্যানকেই ভালোবাসতে চেয়েছিলে,
তবুও কোজাগরী রাতে, হেমন্তের শিশিরে এবং বসন্তের আগমনে
তোমার ধমনীতে অহরহ ভালোবাসার বিঠোফেন বেজেছিলো
ভালোবাসা অন্তর্দহে পুরতে পুরতে মুখ রাখতে চেয়েছিলো রোমশ বুকে
তাই ঝিলপুকুর, মাছনদী আর জ্যোস্ণাভরা শস্যখেত পাঠালাম
চেষ্টা করে দেখো না এই ভাংগাচোরা শহরে
আর একবার ভালোবাসা যায় কিনা।
গল্পের বিষয়:
কবিতা