আঁধারে শিশির ঝরে
ঘুমোনো মাঠের পানে চেয়ে চেয়ে চোখদুটো ঘুমে ভরে।
আজিকে বাতাসে ভাসিয়া আসিছে। হলুদ পাতার ঘ্রাণ,
কাশের গুচ্ছ ঝরে পড়ে হায়, খসে পড়ে যায় ধান
বিদায় জানাই–গেয়ে যাই আমি ঝরা ফসলের গান—
নিভায়ে ফেলিয়ো দেয়ালি আমার খেয়ালের খেলাঘরে!
ওগো পাখি, ওগো নদী,
এতকাল ধরে দেখেছি আমারে–মোরে চিনে থাক যদি,
আমারে হারায়ে তোমাদের বুকে ব্যথা জাগে যদি ভাই—
জেনো আমি এক দুখজগানিয়া–বেদনা জাগাতে চাই!
পাই নাই কিছু, ঝরা ফসলের বিদায়ের গান তাই
গেয়ে যাই আমি, মরণেরে ঘিরে এ মোর সপ্তপদী।
ঝরা ফসলের ভাষা
কে শুনিবে হায়!—হিমের হাওয়ার বিজন গাঁয়ের চাষা
হয়তো তাহার সুরটুকু বুকে গেঁথে, ফিরে যায় ঘরে,
হয়তো সাঁঝের সোনার বরন গোপন মেঘের তরে
সুরটুকু তার রেখে যায় সব, বুকখানা তবু ভরে
ঘুমের নেশায়, চোখে চুমো খায় স্বপনের ভালোবাসা!
ওগো নদী, ওগো পাখি,
আমি চলে গেলে আমারে আবার ফিরিয়া ডাকিবে নাকি!
আমারে হারায়ে তোমাদের বুকে ব্যথা জাগে যদি ভাই,
জেনো আমি এক দুখজাগানিয়া—বেদনা জাগাতে চাই!
পাই নাই কিছু, হজরা ফসলের বিদায়ের গান তাই
গেয়ে যাই আমি, গাহিতে গাহিতে ঘুমে বুজে আসে আঁখি!