। ভাগের জীবন।
আমার সম্পূর্ণ নিজের কোনো গল্প নেই।
 হরফে, শব্দে, বাক্যে মিশে গেছে উত্তমর্ণ চরিত্ররা,
 যাদের কাছে আমি গল্পের সুতোর রংগুলো ধার করি।
 আমার আনন্দে বিষাদে, যন্ত্রণা অভিমান তৃপ্তি ও ক্রোধে,
 আর কারো রং এসে এঁকে যায় পটভূমি,
 প্রেক্ষাপটের মাটি, জল ও আকাশ, তারা সব প্রাণ পায় আগন্তুক হয়ে আসা কোনো তুলির ছোঁয়ায়।
 আমার একান্ত নিজস্ব কোনো সংলাপ নেই।
 সব কথোপকথনে, ভাবনাতে জিভে আনা বাক্যগঠনে,
 ঠিক কারো ভূমিকা থাকে।
 এমন হতেই পারে. মঞ্চে আমি একা,
 পায়চারি করে স্বগতোক্তিই আপাতত চিত্রনাট্যে লেখা।
 তখনো স্বরের তারসপ্তক থেকে শমে,
 অতীতের কূট বিশ্লেষণে বা আগামীর ভবিতব্য কল্পনায়,
 নেপথ্যে থেকে যাওয়া অন্য চরিত্র মিশে যায়।
 আমার একা একা বাঁচার কোনো দিন নেই।
 ভিড় এড়িয়ে যখনই আমি নির্জনে চলে আসি,
 আমার স্মৃতি ও চেতনায় ঢেউয়ের মতো উঠে আসে সেই সব মুখগুলো,
 যাদের ভুলতে চেয়ে নির্বাসনে যাওয়া।
 আমার প্রত্যাশায় থাকে আগামীর অনাগত বন্ধুর হাত, আমার হতাশায় বর্তমানের আবিল প্রতিপক্ষরা।
 আমি একক হতে পারি না কখনো।
এতটা এজমালি হয়ে তবুও জীবনকে নিজস্ব সম্পত্তি বলে ভাবি,
 কি অবাক ব্যাপার , তাই না?
…………………….. আর্যতীর্থ
  









