মধ্য দিনমানে ঈষৎ কম আলো
পুকুরে ঝাপ দেয় মাছরাঙা
বাতাস উন্মন, কাজ-ভাঙা!
মাঠের শেষ রেখা নীলের মতো কালো
একলা কেউ হাঁটে টোকা মাথায়
পিপড়ে ভেসে যায় ঝরা পাতায়
জানলা খোলা আমি কীসের ডাক শুনে
দাঁড়াই শিক ধরে নিষ্পলক
সহসা অশনির এক ঝলক!
দিনের পর দিন দণ্ড-পল গুনে
ভুলের পর ভুল প্রতীক্ষায়
ভেবেছি এ ভাবেই জীবন যায়।
দেশকে কোনো দিন জননী বলিনি তো
মাটির পৃথিবীটা নারীও নয়
ও সব মাঝে মাঝে বিকার হয়।
তবু এ দিবাভাগে বৃষ্টি বর্ণিত
ধুলোর সংসারে এ কী মায়া
চক্ষে লাগে যেন ধূপছায়া।
এই যে ধরণীর এমন চেয়ে থাকা
ইহার মাধুরীর নীরব ডাক
বুকটা কেঁপে ওঠে৷ রুদ্ধ বাক্
সুষমা খুঁটে খুঁটে দু’হাত ভরে রাখা
দিয়েছি কতটুকু ইহজীবন
কত যে ঋণী এই শরীর-মন!
গল্পের বিষয়:
কবিতা