গৌরচন্দ্রিকায় বড় কাল ব্যয় হয় ।
রাত একটু নিশুতি হলে
কত অনিয়ন্ত্রিত শব্দ আসে – স্বপ্নের মতো
ধাতব যান্ত্রিক – গলিত সুখ বোধ অথবা অস্ফুট গোঙানি –
অভুক্ত শ্বাপদের ম্রিয়মান শীৎকার –
নিস্তব্ধ অন্ধকার – দীর্ঘ নিঃশ্বাসে – বুক ভারী হয়ে আসে।
কালপেঁচা উড়ে যাওয়া – এই সব রাতে – দ্রবীভূত কিছু
মাতালের মতো ঘুম ঘুম স্বপ্নের জট।
পাতায় পাতায় লেখনীর প্রস্তুতি – কাল ভোর হওয়ার আগে
নিয়তির চাপা আক্রোশের মতো – লালায়িত জিহ্বার
নিদারুন উচ্ছাস।
অনেকটা কাছে গেলে – সেই ধ্রুবতারা – কালপুরুষ ছেড়ে
অনেকটা কাছে গেলে –
এরকমই অনেকটা – ফেনিল রক্তিম কিছু আঁচড়ের শব্দ
ভিড় করে – অনন্ত আকাশ জুড়ে।
সেই নিষিদ্ধ শব্দের রঙে – কিছু পুবের হাওয়া –
দুহাতে – আঁচলে – শরীর ঢাকে ব্যস্ত শব্দেরা সব।
রাত ভোর হলে- কুয়াশায় – হাওয়ায় হাওয়ায় –
কাঁচা মাটির ভিজে যাওয়া নরম মনের মতো –
অথবা – এলো চুলে আগাছার অতৃপ্ত জঙ্গল –
মোমের মতো খুঁটে খাওয়া জমাট জোৎস্না।
এসব ফেলে আর ঘুম আসে না –
ঘুম আসে না বড়।