অক্ষর ঝড়
অনেকটা সময় আসে,
যখন লিখতে ইচ্ছা করে না মোটেই।
অনেকটা সময় আসে,
যখন নিজের ভেতর লেখা নিয়ে
ঋণাত্বক দ্বন্দ্ব জেগে ওঠে।
আমার শব্দগুলো সব
একে একে তরবারি হাতে আমার বুকে এসে থামে,
মহেন্দ্র যুদ্ধের অতন্দ্র পদাতিকের মত।
আমি তাদের দ্বারা বন্দী হয়ে পড়ি।
আমি তাদের গায়ের কালিমা মেখে নিজে অন্তর্ধান হই।
আমার কবিতাগুলো মরে যাওয়ার আগে শেষবার,
আমার অক্ষরগুলিকে আমার বিরুদ্ধে দ্রোহী করে দেয়।
তারা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমার হৃদয় খুঁড়ে
দুঃখ চাষের বর্গা দেয় বিলিয়ে।
অথচ তখনো আমি চৈতালী আগুনে জ্বলন্ত
এক চাঁদের মত ইন্দুলেখা বিলিয়ে যাই।
হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় বক্ষ পিঞ্জর ভেঙ্গে
অচিনপুরে যদি বাসা বাঁধে;
পুরোটা মস্তিষ্ক জুড়ে নিউরন সব টেলিগ্রাম হয়ে যায়;
আর আমি হয়ে যাই রক্তহীন- তুমি ছাড়া;
সেখানে অক্ষরের বিদ্রোহ পরাজয় নিশান ওড়ায়।
এমন পরাজয় যা এক চুমুকে অস্তিত্ব নিঃস্ব করে দেয়।
রাত নিমগ্ন তবু নিদ্রার সোমরসে।
আমার ভেতরে অক্ষর ঝড়ে অস্তিত্ব তোলপাড়।
তবু রাতের পিঠে রাত বেড়ে চলে অপরাজিতার মত;
আর তোমার ঠিকানা নক্ষত্রের মত অনন্তে গিয়ে মেশে;
আমি চুপচাপ, একা দাঁড়িয়ে মেলে দুই বাহু আড়াআড়ি,
তোমার ঠিকানা বুকে আগলে জীবন কাটাতে পারি।