আলস্যে বিভোর আমি একদমই ঠাহর করতে পারিনি
কোন্দিন, কিভাবে তুমি আমার পর হয়ে গেলে?
কতোদিন দাঁড়ি গোঁফ কামাইনি —-
পদ্য থেকে গদ্য
গদ্য থেকে পদ্য
অতঃপর আবার
পদ্য থেকে গদ্য!!
এই করতে করতে আমার উঠোন এখন পুড়োবাড়ি
এখানে শব্দ, বাক্য, ধূলিকণা আর শ্মশান এরা প্রায়
সমার্থক শব্দ, কেবল মাঝে মাঝে শোনা যায় অতৃপ্ত
আত্মার করুন রোদন—
ভাঙা ভাঙা অস্পষ্ট উচ্চারণে সেখানে কবিতার কথা
বলে কেউ, আবার কখনও অপ্সৃয়মান ছায়ার মতো
ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর ——-
অথচ
বুলন্দ আওয়াজে গল্পের কথাও বলে যায়, এই তো
সেদিনও ভোরের সমস্ত আকাশ একসাথে নেমে এসে
ছিলো এখানে,তবুও নৈঃশব্দের বাতিঘর জেগে উঠেনি!
আরও একটা অতিপ্রাকৃতিক বিষয় আছে
তা-ও আমি আদৌ কোনোদিন ঠাহর করতে পারিনি
এখানে প্রেম আর প্রতিহিংসা বহতা নদীর মতো
একসাথে ধেয়ে চলে, খায়-দায়, ঘুমায়, কবিতায়-কবিতায়,
গল্পে-গল্পে; তবুও দূরগামী চোখ কোনোকিছু ভুলে
না————!!