আমিতো ছিলাম এক সূর্যাস্ত নিয়ে
সন্ধ্যাও দিয়েছিল অন্ধকারের সুখ।
কালো-লাল স্বপ্নের মাঝে সাদা ঘোড়া
উড়িয়ে নিয়ে গেল শীতার্ত ইউরেনাসে!
হিমেল দূরবীনের চোখ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
ফুসফুসে সব দানব গ্যাসের উঠানামা।
বক্সের বলয়ে নড়ে বসে জ্যোতিষ্কের শরীর
শ্বেতাভ সূর্যমুখীদের সংসার কাঁপে বরফের ঘরে…
অন্বেষিত দুটো পালক মেঘের বুকের ভেতর থেকে
কঠিন বৃষ্টির সিঁড়ি ধরে নেমে আসে দুশো দিনের
কুয়াশার দেশে। বাসা বাঁধে ফুটফুটে তুষারের ফুল
ঠান্ডা দোলন চাঁপায় ডুবে যায় এস্কিমোদের উঠোন।
সৌরদিনের বালিঘড়ি দিয়ে যায় শীতকাতুরে রোদের শিষ
কখনো সখনো মেঘলা খোলক, দিনভর রোদ-ঠোক্রা কুয়াশা।
কখনোবা কাঞ্চনজঙ্ঘা থামে বায়োস্কোপের নেপালি জানালায়।
জ্ঞানবৃদ্ধ ঈশ্বরের জমাট স্থাপত্য বুকে টানে মায়াবী সিম্ফনি!
তখনো বোধের শৈত্য আবিষ্কার- সৌরজগতে শীতের ভাষা সাদাই হয়!
ঋতুর শীতন দেয়ালে, তুহিনের স্রোতে একাকী ভাসে এক মৌসুমী রঙ।
হঠাৎ অন্য এক শীতাতপ রূপকথা পড়ি পরিযায়ী পাখিদের চোখে!
উড়াই কনকনে পাখনা; বায়োস্কোপে সাঁতার কাটে পেঙ্গুইনের ছানা।
বুনো মুগ্ধতায় দেখি নাতিশীতোষ্ণের দেশ! ঠোঁটে নামে শীতের স্বাদ!
এখানে, পিঁপড়ের গড়া মাটির ইগলু! মায়াবী জলে উড়তি-উৎসব!
মেটে ক্যানভাসে রঙ পেন্সিলের দাগ! এক হলুদ শীতে ডুবন্ত বায়োস্কোপ!
শীতল বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে একজোড়া হলদে রঙা আশ্চর্য চোখ!