এক ধনী ব্যবসায়ী ছিল। তার ছিল প্রচুর ধন সম্পত্তি। আর ছিল অনেক লোকজন, ঝি-চাকর গাড়িঘোড়া ইত্যাদি। তার একটা বড়ো কুকুরও ছিল। কুকুরটা ছিল খুবই প্রভুভক্ত। সে মনিবের সব লোকজনদের পাহারা দিত। কেউ কাজে ফাঁকি দিলে, জিনিসপত্র ভেঙে ফেললে বা চুরি করলে ঘেউঘেউ করে ডেকে মনিবকে জানিয়ে দিত। আর কুকুরটার প্রধান কাজ ছিল খুব ভোরে মোরগ ডেকে ওঠবার সঙ্গে সঙ্গে সকলকে জাগিয়ে দেওয়া। ফলে লোকজনদের আর বেশিক্ষণ ঘুমিয়ে থাকা চলত না। উঠে পড়তে হত সকাল না হতেই। আর উঠেই মনিবের কাজে লেগে যেতে হত।
এত সকালে উঠে- শীত নেই, বর্ষা নেই কাজ করা।
ব্যবসায়ীটির লোকলস্করদের আর সইছিল না। তারা মতলব আঁটছিল যে কীভাবে কুকুরটাকে জব্দ করা যায়! অনেক ভেবেচিন্তে শেষে তারা কুকুরটার খাবারে একদিন বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলল। তারা ভাবল – এবার বাঁচা গেল, রাত ভোর হবার আগে আর তাদের উঠতে হবে না। কিন্তু এতে ফল হল উল্টো। মনিব বেজায় রেগে গেলেন। তিনি ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন। তারপর একটা ব্যবস্তা নিলেন। রাত দ্বিপ্রহর থেকেই তিনি তার লোকজনদের উঠিয়ে কাজে লাগিয়ে দিতেন। মিষ্টি করে, মুখে বলতেন – ওরে তোরা উঠে পড়, রাত আর নেই। অনেক কাজ আছে, সব পরে আছে।
নীতিঃ মানুষের দুর্গতির জন্যে মানুষই দায়ী।