–দোস্ত দেখ মেয়েটা অনেক সুন্দর। আমার সাথে হেবি মানাবে। (সবুজ চেচিয়ে বলে উঠল)
–ওয়াক থু। তোর কি চয়েস! এ তো পুরো ময়দা সুন্দরী,একে কি কারো চয়েস হতে পারে!(আমি)
–তাহলে তোর কেমন মেয়ে পছন্দ একটু বল তো শুনি আমরা (হাসতে হাসতে সবুজ বলল)
–দেখ আমার ফসর্া মেয়ে হোক আর কালো মেয়ে হোক সে যেমনই হোক না কেন মেয়েটার মুখে যেন মায়া সব সময় থাকে
যে মায়ায় আমি সব সময় ডুবে থাকব। তার চোখ হবে টানা টানা, চুল হবে লম্বা, সে কাদলে মনে হবে সব মায়া তার মুখে জমা
হয়েছে, রাগলে তার চোখ হবে লাল।এক কথায় একটা গোছানো মেয়ে হতে হবে।(আমি)
–এই রকম মেয়ে তোর জন্য তাহলে অডর্ার দিতে হবে মনে হচ্ছে(রাফি)
–না রে আমার মন বলে আমি তাকে খুজে পাব। (আমি)
–এই জন্যই কি তুই কোনো মেয়ের দিকে তাকাস না? (সবুজ)
–হুম দোস্ত।
–ঠিক আছে কাল থেকে এ রকম মেয়ে খোজা শুরু হবে তাহলে। (রাফি)
–হা হা হা। থাক বাসায় যায়
–থাকব মানে তুই চলে গেলে আমরা বসে থাকব নাকি? আমরা ও যাব চল।(রাফি)
–ওকে চল
আমি ধ্রুব। আর ওরা দুই জন হল রাফি আর সবুজ আমার জানে জিগার দোস্ত।ওদের ছাড়া আমার একটা দিন ও চলে না।
আমার বাবা মা বেচে নেই আমি আমার মামা মামীর কাছে বড় হয়েছি।কিন্তু তারা কোনো দিন ও আমাকে আমার মা বাবার অভাব
বুঝতে দেই নাই। বাসায় চলে আসলাম , বসে টিভি দেখছি।
–কিরে ধ্রুব তোর কি মন খারাপ?(মামী)
–না মামী। কি যে বল? তোমাদের মত মামা মামী যার আছে তার কি মন খারাপ থাকতে পারে?(ধ্রুব)
–হয়েছে হয়েছে। অনেক বড় কথা বলতে শিখে গেছিস। মনে হচ্ছে তোকে এবার একটা বিয়ে দিতে হবে।(মামী)
–কি যে বল মামী?(একটু লজ্জা পেয়ে আমি)
–নে খেয়ে নে।
খাওয়া দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে ভাবছি আমি যেরকম মেয়ে আশা করছি তা কি আদৌ পাওয়া সম্ভব? ভাবতে
ভাবতে ঘুমায় গেলাম।সকালে উঠে ক্যাম্পাসে চলে গেলাম।আজ কেন জানি ক্লাস করতে ভাল লাগছে না। তাই আমি বাইরে চলে
আসলাম।আমার আসা দেখে সবুজ আর রাফীও চলে আসল।
–কিরে চলে আসলি কেন?(রাফি)
–ভাল লাগছিল না তাই।
–আচ্ছা চল একজায়গায় বসি। (রাফি)
–হুম চল।
আমরা তিন জন বসে আড্ডা দিচ্ছি ঠিক ঐ সময় একটা মেয়ে আমাদের দিকে আসতে ছিল।
–মামা ব্যাপার কিরে মেয়েটা এইদিকে আসতেছে ক্যান(রাফি)
–সবুজ তুই কি কোনো অকাম কুকাম করছিস নাকি?(আমি)
–মানে? আমি ঐ ধরনের পোলা না।(সবুজ)
–সে তো আমি জানি। কিন্তু মেয়েটা এই দিকে আসতেছে কেন?(আমি)
–আচ্ছা আসুক না দেখা যাবে।(রাফি)
–Excuse me! ভাইয়া। (মেয়েটি)
আমি ঘাড় উচু করে তাকিয়ে আছি।এ আমি কাকে দেখছি সেই চোখ, সেই নাক,সেই চুল যেটা আমি সয়নে স্বপনে কলপা করি।
আমি হা করে তাকিয়ে আছি। তখনি
–দোস্ত মুখে মাছি যাবে(কানে কানে রাফি বলল)
আমি নিজেকে ঠিক করে নিয়ে…
–জ্বী বলুন(আমি মেয়েটিকে বললাম)
–আসলে আমি এই কলেজে নতুন প্রথম বষের্র ক্লাস টা কোন দিকে একটু বলবেন?(মেয়েটি)
আমি মেয়েটাকে দেখিয়ে দিলাম। মেয়েটি চলে গেল।আমি মেয়েটার চলে যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছি।
মেয়েটি চলে যেতেই
–কি ব্যাপার মামা? ঐ ভাবে তাকইছিলি ক্যান মেয়েটির দিকে?(রাফি)
–মামা পেয়ে গেছি আমার স্বপ্নের কন্যা কে।
–কি বলিস তুই? (সবুজ)
–মেয়েটা তো কালো।(রাফি)
–মামা তোদের তো বলেছিলামই কালো হোক আর ফসার্ হোক আমার দেখার নেই আমি চাই একটা ভালো মন যে শুধু আমাকে
ভালোবাসবে, আর আমার মন বলছে এটাই সেই মেয়ে।(আমি)
–sorry! দোস্ত।বুঝি নাই।(রাফি)
–এবার বল কি করে এই মেয়ের মন জয় করব? (আমি)
–এটা কোনো ব্যাপার হল? তুই গিয়ে ওর সামনে দারাবি তাই তো হবে। তোর মত হ্যাড্নসাম ছেলেকে যেকোনো মেয়ের জীবন
সঙ্গী হিসেবে পাওয়া তার ভাগ্যের ব্যাপার।(রাফি)
–না রে দোস্ত। তোর এই কালো মেয়ে দের নিয়ে কোনো আইডিয়াই নেই এরা কি রকম হয়।এদের মন খুব শক্ত, তুই শুধু ওর
ঠিকানা জোগার করে দে।তাতেই হবে।
–ওকে দোস্ত। তোর জন্য জীবন দিতে রাজী। (সবুজ)
–ফাপর একটু কম মার। তোকে আমার চেনা আছে(আমি)
–ঠিক আছে, এইবার আমাকে চিনবি তুই, নতুন ভাবে।(সবুজ)
–কথাতে বিশ্বাসি নই আমি কাজে বিশ্বাসি।(আমি)
–ওকে ওকে
ওখান থেকে উঠে সোজা আমি বাসায় চলে আসলাম।
–কিরে ধ্রুব আজ এত তোকে খুশি খুশি লাগছে কেন? (মামী)
–আচ্ছা মামী তুমি কি করে বুঝ গো, আমি কবে খুশি থাকি আর কবে কষ্টে থাকি?
–হা হা। এটা মায়েদের মন তারা সবই বুঝে।(মামি)
–সত্যি তুমি আমার মা।
বলে মামী কে জরিয়ে কাদতে লাগলাম।মা মারা যাওয়ার পর কোনো দিন ও আমাকে মায়ের অভাব বুঝতে দেই নাই এই মামী।
–তা মেয়েটা কে?(মামী)
–মানে?(আমি)
–তুই যে মেয়েটার জন্য এত খুশি সেই মেয়েটা কে?
–মামী তুমিও না।।
বলে চলে আসলাম রুমে। তখনই সবুজের ফোন।
–মামা খবর আছে। (সবুজ)
–কইটার খবর বে? (আমি)
–আবে তোর স্বপ্ন কুমারীর খবর পেয়ে গেছি।(সবুজ)
–আমি কি এই কথাটা সত্যি সুনতেছি নাকি স্বপ্ন দেখতেছি। কিছুই তো বুঝতেছি না। তুই এই কাজ টা সত্যি করেছিস?(আমি)
–হুম মামা আমি সব সময়ই করি কিন্তু তোরা মনে রাখিস না।(একটু অভিমানের সুরে সবুজ বলল)
–আচ্ছা বাবু এখন থেকে বলব।এবার ঠিকানা টা বল দেখি।
–শোন তাহলে মেয়েটির নাম মিতু। বাসা রাজা বাজার কলোনিতে।(সবুজ)
–ওকে দোস্ত।
এর পর শুরু হল আমার ঐ মেয়েটির পিছু নেওয়া প্রতিদিন ওর বাসার সামনে গিয়ে দারায় থাকতাম।আশায় থাকতাম ও কোন
সময় বাইরে আসবে।।আর যখন ও বাইরে আসত আমি ওর পিছু নিতাম।ও যখনি পিছনে তাকাত আমি অন্যদিকে ঘুরে যেতাম।
এই কই দিনে ওকে দেখে আমি খুব বেশি ভালবাসে ফেলেছি।এই ভাবে চলে গেল কিছু দিন। আমি ওর পিছু নিলেও ওর সাথে কথা
বলার সাহস পেতাম না। এক দিন ওর পিছন পিছন যাচ্ছিলাম।তখন ও পিছনে ফিরে…
–এই যে মি. শুনুন (মিতু)
–জ্বী আমাকে বলছেন(একটু ভাব নিয়ে)
–না ঐ যে গরুটা দারিয়ে আছে ওকে বলছি।(মিতু রেগে)
–ওও
–ও মানে। এখানে আপনি ছাড়া কি কেউ আছে? (মিতু).
–হ্যা বলুন।
–আপনার সম্যা কি? অনেক দিন থেকে দেখছি আপনি আমার পিছু নেন! কাহিনীটা কি? (মিতু)
–কৈ আমি কবে আবার আপনার পিছু নিলাম।
–দেখুন আমার ন্যাকামো একদম ভালো লাগে না।। সোজা সাপ্টা উত্তর দিন।(মিতু)
যতটা সহজ ভেবেছিলাম মেয়েটাকে ততটা সহজ নয়। কিন্তু আমি একটা জিনিস জানি রাগী মেয়েদের ভালোবাসা কোনোদিন ও
মিথ্যে হয় না।তাই একে আমার চাই
–আসলে আপনাকে আমার খুব ভালোলাগে…
–থামুন। আমি এমন টাই আন্দাজ করেছিলাম।
আমার মুখের দিকে তাকান। দেখেছেন আমি কাল।
–তো কি হয়েছে?
–কি হয়েছে মানে? আপনি জানেন না কালো মেয়েদের ভালোবাসা অন্যায়,পাপ সমাজের চোখে।(মিতু)
–দেখুন আমি আপনাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি।
–এটা আপনার আবেগ,আবেগ টা কেটে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।আর আপনি ভাবলেন কি করে আপনার পরিবার আমার মতো একটা কালো মেয়ে মেনে নিবে? (মিতু)
–আপনি আমার পরিবারের কথা বলছেন?আরে তারা তো আমার কথার বাইরে কোনো সময় যায় না ।
–অনেক্ষণ ধরে আপনার বক বক শুনতেছি।আর সহ্য করব না কিন্তু বলে দিলাম।(মিতু)
–ঠিক আছে।তোমাকে এই ইডিয়টটার প্রেমে ফেলেই ছাড়ব বলে দিলাম।(ঐ খান চলে আসতে আসতে বললাম)
পিছনে তাকায়ি দেখি মেয়েটি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে
সত্যি মেয়েটা অসম্ভব রকমের মায়াবি আর রাগি।ঐ খান থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম। সবুজের থেকে জানতে পারলাম
মেয়েটার ফেসবুক আইডি “”নীল পদ্দ””। সত্যি সবুজের মত একটা বন্ধু থাকা ভাগ্যের ব্যাপার।ওর কাছে কোনো ছেলের
ইনফরমেশন থাকুক বা না থাকুক মেয়েদের ফুল বায়োডাটা ওর কাছে থাকবেই।আসলে ও একটু মেয়ে পাগলা।অনেক খুজে ওর
আইডি পেলাম।রিকুয়েস্ট দিলাম আর একটা মেসেজ দিলাম।
“”তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন, শিল্পীর রঙ্গে ছবি. তুমি আমার চাঁদের আলো, সকাল বেলার রবি..
তুমি আমর নদীর মাঝে একটি মাত্র কূল, তুমি আমার ভালবাসার শিউলি বকুল ফুল…….
দিন যায় দিন আসে, সময়ের স্রোতে ভাসে. কেউ কাঁদে কেউ হাঁসে, তাতে কি যায় আসে. খুঁজে দেখো আশে পাশে, কেউ তোমায় তার জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসে……. “”
মেসেজ দিয়ে বের হয়ে গেলাম।অনেক্ষন বাদে গিয়ে দেখি একটা মেসেজ আসছে।
–বাহ বাহ কবিতা তো ভালোই লিখতে পারেন।আমার মনে হয় আপনি ভুল জায়গায় সেড্ন করে ফেলেছেন।(মিতু)
–ভুল জায়গায় না আসল জায়গায়ই দিয়েছি।(আমি)
–মানে টা কি? (রাগের ইমু দিয়ে)
–মানে টা হল আমি আপনাকে ভালোবাসি। (আমি)
–কে আপনি? কি আবল তাবল বলছেন?(মিতু)
–আমি সেই সকালের ছেলেটা।
–ওহ আপনি।দেখুন আপনি কি বাচ্চা ছেলে নাকি? যে এত করে বোঝাতে হবে।(মিতু)
–আমি কি বেশি কিছু চেয়েছি। শুধু তো একটু ভালোবাসা চেয়েছি।
–ভালোবাসা কি মুূদি দোকানের পন্য যে চাইলেন আর পেয়ে গেলেন।(মিতু)
–আমি তোমার মন পাওয়ার জন্য যুগ যুগ তোমার পিছনে ঘুরব।
সিন করল আর রিপ্লে দিল না।আমি ও সুন্দর করে একটা কবিতা লিখে দিলাম ওকে
“”আমি মেঘের মতো চেয়ে থাকি. চাঁদের মতো হাঁসি. তারার মতো জলে থাকি, বৃষ্টির মতো কাঁদি. দূর থেকে বন্ধু তোমার কথা’ই শুধু ভাবি………….
নরম হাতের মিষ্টি লেখা. বন্ধু আমি বড় একা. চাঁদের গায়ে জোসনা মাখা. মনটা আমার ভীষণ ফাঁকা. ফাঁকা মনটা পূরণ কর. বন্ধু আমায় Kiss,থুক্কু! Miss কর……… “”
মেসেজ টা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে দেখি মিতু মেসেজ দিয়েছে সেটা দেখেতো আমি অবাক।
–রোমান্টিক বয়। আপনার রোপান্টিকতা অন্য মেয়েদের কাছে খাটান আমার কাছে নই।(মিতু)
মেসেজ দিতে গিয়ে দেখি আইডি ডি এক্টভিক করে রাখছে।কি আর করার বেরিয়ে পড়লাম ওকে দেখার জন্য।এই ভাবে ওর
বাসার সামনে যাওয়া আমার প্রতিদিনের রুটিন হয়েগেছে।এর মধ্যে ওর সাথে প্রায়দিনই দেখা হত ও আমার দিকে কেমন যেন
ভাবে তাকাত। সেটা দেখে সত্যি অনেক ভাল লাগত।ঐ খান থেকে বাসায় এসে দেখি মামী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সাথে সাথে তাকে
নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।মামীকে নিয়ে হাসপাতালে তিনদিন থাকতে হল।এই কই দিনে একবার ও মিতুর খবর নেওয়ার সুযোগ
পায় নাই।আসলে মামীকে নিয়ে এতটাই ব্যাস্থ ছিলাম যে ওর খবর নেওয়া আর হয়েব ওটে নাই।মামীকে হাসপাতাল থেকে বাসায়
নিয়ে চলে আসলাম এখন একটু সুস্থ আসলে মামীর কিছু হলে আমি ঠিক থাকতে পারি না।বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে একটু ফেসবুকে
গেলাম এই তিন একবার ও ঢোকার সুযোগ হয়ে ওঠে নাই। ঢোকার সাথে সাথে একটা মেসেজ আসলো।
–কি ব্যাপার এই কই দিন আর তো আসো না এই দিকে।দেখেছো আবেগ চলে গেছে।(মিতু)
–আরে কি বল। আমার মামী খুব অসুস্থ তাই যাওয়া হয় নাই।
–তাই? কি অবস্থা এখন?(সাথে সাথে রিপ্লে দিল মিতু)
–হুম এখন অনেকটা ভাল।
–গুড।(মিতু)
–তোমার সাথে একটু দেখা করতে চাই, করতে পারবে?( একটু সাহস নিয়েই বললাম।)
–একটু হেসে কথা বলেছি।আর পেয়ে বসলে।
–প্লিজ একটু দেখা কর না? (আমি)
–আচ্ছা দেখা যাবে।
এইটা বলে ফেসবুক থেকে বের হয়ে গেল।
পরের দিন একটু তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়লাম দেখা করার জন্য।গিয়ে দেখি ও আগেই চলে আসছে।মেয়েদের সময় ঙ্গান নিয়ে
বলতেই হবে অনেক।
–হাই
–হুম(মিতু)
–ভাল আছ?
–হুম।তুমি(মিতু)
–বাহ ভালোই।
–হুম বল কি বলবা।(মিতু)
হাটু করে গেরে বসে একটা গোলাপ দিয়ে বললাম
ღ_ღ_ ভালবাসাহীন হাজার বছর আমি চাইনা। আমি চাই ভালবাসাময় কিছু মুহূর্ত, চাই ভালবাসা, মায়া-মমতা,স্নেহের আবেগে
পরিপূর্ণ ,একটুখানি জীবন !! আমি চায় তোমার ভালোবাসা💜💜
–তুমি বোঝার চেষ্টা কর।আমি তোমার যোগ্য নয়। আমি দেখতে কালো। আমাকে বিয়ে করলে তুমি কোনো জায়গায় সম্মান পাবে
না।
–দেখ আমি তোমার রুপ কে ভালোবাসি নাই।আমি ভালোবেসেছি তোমার মন কে।
–সেটা পসিবল না।(মিতু)
এটা বলে চলে যাচ্ছিল।
আমি ওর হাত ধরে ফেললাম।
–আমার হাত ছেড়ে দাও। যেটা সম্ভব নয় সেটা বলাও উচিত নয়।
“” হাতটি ধরেছি, ছেঁড়ে দেবার জন্যে নয়… অনেক ভালবাসায়, অনেক যত্ন নিয়ে ধরেছি তোমার হাত… কথা দিলাম, আরো শক্ত করে ধরে রাখবো তোমার হাত…! “”
বললাম আমি।বলার সাথে সাথে দেখি মিতু কাদতেছে
–তুমি সত্যি আমাকে এত টা ভালবাস?
–তোমাকে আর কত ভাবে প্রমান দিব তোমাকে ভালবাসি।(আমি)
এটা বলে ওকে জড়িয়ে নিলাম বুকের সাথে।দেখলাম ও কোনো কিছু বলল না
শুধু বলল
–আমি ও তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি।এই কই দিন তুমি আস নাই। তোমার জন্য কত কেদেছি জান।ভেবেছি তুমি হয়তো আমাকে ভুলেই গেলে।(কাদতে কাদতে বলল মিতু)
–পাগলী আমার।
–পাগলের পাগলী(মিতু)
–চল
–কোথায়?
–কাজী অফিসে।(আমি)
–মানে
–তোমাকে এখন বিয়ে করে আমি বাসায় ফিরব।(আমি)
ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি ও কান্না করছে।এটা সুখের কান্না। এখন কাদুক না একটু,ভবিষৎতে আর কোনো দিন ও কাদতে
পারবে না।ওকে বিয়ে করে বাসায় আসলাম।কলিং বেল চাপতেই মামী খুলে দিল দরজা
–ও কেরে? (মামী)
–তোমার বউ মা।
–দারা তোর একদিন কি আমার একদিন আজ।(মামী)
বলে মামী ভিতরে চলে গেল।মিতুর দিকে তাকিয়ে দেখি ও ভয়ে কাপছে।
–কি ব্যাপার ভয় পাচ্ছ?
–তোমাকে তো আমি আগেই বলেছিলাম। মেনে নিবে না।(মিতু)
–কিরে তোরা এখনও বাইরে কেন?তোর মামার কাছে ফোন দিয়েছিলাম তোর মামা মিষ্টি নিয়ে আসছে।(মামী)
–কি মা তুমি কি ভয় পেয়েছিলে? ( মামী মিতু কে বলল)
মিতু মামীকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিল।
–পাগলী মেয়ে কাদিস কেন? আমি জানি ধ্রুব যা করবে ওর ভালোর জন্যই করবে।(মামী)
অত পর শুরু হল আমার মিতুর সুখের সংসার।প্রতিদিন সকালে মিতুর দুষ্টামি,ওর চুলের পানি দিয়ে আমার ঘুম ভাঙনো তার পর
ওকে জড়িয়ে ধরা।
একদিন অফিস থেকে এসে দেখি মিতু শুয়ে আসে।আমি জিঙ্গেস করতেই ও বলল,তুমি বাবা হতে চলেছো।আমি খুশিতে কাদব
নাকি হাসব বুঝতে পারছিলাম না।ওকে কোলে তুলে নিলাম,আর ছাদে চলে গেলাম সারা রাত গল্প করলাম দুই জন।
আমি অফিসে মামী ফোন করে বলল মিতুর পেইন আমি জেন হাসপাতালে চলে যাই,
হাস্পাতালে গিয়ে দেখি মামী দারায় আছে , কি ব্যাপার মামী কি অবস্থা?
অপারেশন চলছে মামী বলল। কিছু সম ইয় ডাক্তার বের হল বলল আপনার একটা মেয়ে সন্তান হ য়েছে। আমার wife কেমন
আছে, হুম তিনি সুস্থ।আমি গিয়ে মিতু বললাম thank u মিতু আমাকে এত সুন্্দর একটা মেয়ে উপহার দেওয়া জন্য।
এর পর থেকে আমার সুখের সংসার আরো সুখের হয়ে হল উঠল।
……………..সমাপ্ত……………
কালো মেয়েদের সম্নান করতে শিখুন । তারাও মানুষ এটা মাথায় রাখুন। তারাও চাই একটু ভালবাসা একটু মমতা। ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।