সবাই কে এক পালায় মাপা উচিত নয়

সবাই কে এক পালায় মাপা উচিত নয়

আমি ছ্যাকা খেয়ে দুই দিন মন খারাপ করে ছিলাম । আমার মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি কষ্টে মরেই যাবো । এতো এতো কষ্ট পেয়েছিলাম ।

বাঁচলাম কি করে ?

আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবী আমাকে ভাইয়া বলে খুব সমীহ করতো । ঐ ফোন দিয়ে শান্তনা দিতো আমাকে ।

কথায় বলেঃ এক নারী জাহান্নামে নিতে পারে ,আবার আরেক নারী পারে জান্নাতে নিতে ।

আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবীর নাম ছিলো মিতু । তার একটি কথাই আমাকে বদলে দিয়েছিলো । সে বলেছিলো ভাইয়া আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন তবে একদিন আপনি ল্যাপস হয়ে যাবেন ।

আপনি যদি ল্যাপস হয়ে যান তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে হাসবে । এবং সে বলবে উফ খুব বাঁচা বেঁচে গেছি । ঐ ছেলের সাথে থাকলে আজ আমার করুণ পরিণতি হতো ।

অর যদি আপনি নিজেকে খুব ভালো ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে খুব আফসোস করবে । আর বলবে হায় আল্লাহ আমি ভুল করেছি !

মিতুর এই একটি কথাই আমার চেতনাকে উজ্জীবিত করেছিলো । মিতুর কথার ভিতর কি একটা যেনো জাদু ছিলো । মিতুকে আমি বোন ডাকতাম ।

আমি যখনি দৌড়াতে দৌড়াতে হাফিয়ে উঠতাম ঠিক তখনি মিতু আপুর কথা আমার কানে বাজতো । আমি যেনো তখন আবার পাওয়ার পেয়ে যেতাম ।

আমার কপালটা অল্প পরিমানে খারাপ , কাকলির মতো একটা গার্ল ফ্রেন্ড পেয়েছিলাম ।যে আমাকে জাহান্নামে ফেলেছিলো ।

আমি অনেক বড় সৌভাগ্যবান ,মিতুর মত একটা বোন পেয়েছিলাম । যে আমাকে সাফল্যের পথ চিনিয়ে দিয়েছিলো ।

আজ আমি এমন একটি প্রান্তে পৌছে গেছি যেখানে সাফল্য বাধ্য হয়ে আমার কাছে ধরা দিয়েছে । আমার জীবনের এই সব কিছু পাওয়া তা শুধুমাত্র আমার ঐ মিতু আপুটার জন্যই ।

আমি যদি আমার শরীরের রক্ত দিয়ে আমার ঐ বোনটার পায়ে আলতা বানিয়ে কোন এক রাজপুত্রের হাতে তুলে দিতে পারতাম তবে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করতে পারতাম ।

এ রিন আমি শোধ করবো কি করে ? আমি সে সুযোগ পাওয়ার আগেই সে যে বাস এক্সিডেন্টে চলে গেছে এই পৃথিবী ছেড়ে ।

ঐ যে আকাশের উজ্জ্বল ঐ তারাটা ,ঐ টাই আমার সেই মিতু আপু । রাত এখন গভীর । তারাটি কি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে । আমি যখনি ওর কথা ভাবি তারাটি যেনো আরও বেশি উজ্জ্বল হয় । হয়তো সে জানান দেয় সে তার ভাইয়াকে এখনো চোখে চোখে রেখেছে ..

গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত