আজ আমি বাস্তবতার কথা বলবো। আপনিদের হয় তো পড়ে ভালো লাগবে। একজন শিক্ষকের আর্দশ দিক।
হাসান একজন স্কুলের নিয়মিত ছাত্র। হাসান পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। সে ভালো ছাত্র। সে মনোযোগসহ কারে শিক্ষকের প্রতিটি কথা শুনে। হাসান এর প্রিয় শিক্ষক শফিক স্যার।
–
তো হাসান প্রতি দিনের মতো ক্লাস করছে। ক্লাসে আজ ৪৫ জন উপস্থিত আছে। তো শফিক স্যার ক্লাসে প্রবেশ করলো। সে সাথে সকল ছাত্র সালাম দিলো।
সকল ছাত্র: আসসালামু আলাইকুম স্যার।
শফিক স্যার: ওয়ালাইকুম আসসালাম। ছাত্ররা কেমন আছো? সকল ছাত্ররা এককন্ঠে বললো, আলহামদুলিল্লাহ। আর সকল ছাত্র রা জিজ্ঞেস করলো। স্যার আপনি কেমন আছেন ? শফিক স্যার বললো, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
শফিক স্যার গণিতের প্রফেশনাল শিক্ষক। শফিক স্যার বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। স্যার প্রতিদিনের মতো পড়া শেষ করে। স্যার একটা ঘটনা বলতে গুরু করলো।
তোরা তেমন পড়াশোনা পারচ্ছি না। বাসায় মনোযোগ দিয়ে পড়। না হলে পরীক্ষায় ফেল করবি। আমাদের স্কুলে একটা ছাত্র ছিলো। টাকার কারণে পরীক্ষা দিতে পার ছিলো না। তারপর আমরা সকল শিক্ষক মিলে টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করায়। আমাদের স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সালাম স্যার তাকে পড়ায়। ssc. পরীক্ষা দিবে ছেলেটা। টাকার কারণে পড়তে পারে না। আর তোদের টাকা আছে। কিন্তু পড়ালেখা করছো না। যে ছেলেটা টাকার কারণে পড়াশোনা করতে পারছিলো না। ছেলের পরিবার ছিলো খুবই গরিব।
ছেলেটা পরীক্ষা দিলো। ssc তে জিপিএ ৫ পেয়েছে। আমরা সকল শিক্ষক খুশি হলাম যে, ছেলে টা পরীক্ষায় ভালো নাম্বার সহ পাশ করেছে। আমরা সকল শিক্ষক ভাবলাম। ছেলে টা তো কলেজে ভতি হবে। আর একটা মোবাইল দরকার হবে। তো আমাদের একজন শিক্ষক মোবাইল কিনে দেয়। তারপর অনেক বছর পর পড়াশোনা শেষ পযায়ে। এমন সময়ে এক টিভিতে ছেলেটার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। আপনি তো গরিবের ছেলে কীভাবে পড়াশোনা করলেন। ছেলে টা বললো, আমার মা আমাকে খুবই কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছে। বুঝলি আমাদের কথা বললো না। আমরা যে, ফরম পূরণ এর টাকা দিলাম। আর আমাদের একজন সিনিয়র শিক্ষক যে, দুই বছর বিনা টাকায় পড়ায়। তার কোনো মূল্য নেই। আজ চলে যাচ্ছি। আমার ক্লাস শেষ। আবার আগামীকাল আসবো। আর কেউ শয়তানি করবে না।