আবির ট্রেনে চড়তে অনেক ভালোবাসে।তাই সে মাঝে মাঝে চাঁদপুর থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রামে যায়।বরাবর এর মত এবারও আবির ট্রেনে চট্টগ্রাম ফিরছে আর ভাবছে “ট্রেনে চড়তে কতই না ভালো লাগে”।ট্রেন থেকে নামতে যাবে এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে।
আবির:-হ্যালো…
মেয়ে:-আপনি কি আবির!![কাপা কাপা কণ্ঠে]
আবির:-জ্বি আপনি কে?…
মেয়ে:- আমাকে আপনি চিনবেন না।আমি আতপনার এক বন্ধু থেকে আপনার নাম্বার নিয়েছি।
আবির:-জ্বি এবার কেন ফোন দিয়েছেন বলুন…
মেয়ে:-আসলে আমার বোন এর জন্য এক ব্যাগ B+ রক্ত প্রয়োজন।পরিচিত কেউ নেই,তাই রক্ত পাচ্ছি না।আমাকে একটু হেলপ করুন প্লিজ।
আবির:-হুম…
*আবির মেয়েটার কাছ থেকে হসপিটাল এর নাম এবং সিট নাম্বার নিল।আবির এখন ভাবছে আগে বাসায় যাবে নাকি মেয়েটাকে সাহয্য করতে যাবে।আবির সব সময় মানুষকে সাহয্য করে।আবিরের রক্তের গ্রুফ B+তাই এখন যাচ্ছে মেয়েটাকে সাহয্য করতে।
আবির:-হ্যালো আপনি কোথায়?আমি তো নিচে দাড়িয়ে আছি…
মেয়ে:-একটু দাড়ান আমি আসতেছি।
মেয়েটা দুই মিনিট হতে না হতেই চলে এল।তারপর আবির দেরি না করেই রক্ত দিল।তারপর মেয়েটার সাথে পরিচয় হলো।মেয়েটার নাম নিদি।ওনার বোনের জন্য রক্ত প্রয়োজন ছিল।এরপর আবির কিছুক্ষণ কথা বলে চলে এল।কেটে যায় অনেক দিন।আবিরের বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারে অভাব দেখা দেয়।টিউশনি করে কলেজের খরচ যোগার করতে পারলেও ম্যাচের খরচ টা যোগার করতে পারে না।
ফোনটা বাজছে অনেক্ষণ ধরে।
আবির:-হ্যালো কে?
নিদি:-জানতাম ভুলে যাবেন।
আবির:-এখন বলেন আপনি কে?
নিদি:-আমি নিদি…
আবির:-ও আচ্ছা কেমন আছেন?
নিদি:-ভুলেই তো গেছেন আবার কেমন আছি জিঙ্গেস করছেন।
আবির:-দুঃখিত আসলে….
নিদি:-আর আসলে বলতে হবে না আমি সব জানি,একটা রিকোয়েস্ট করতে চাই…
আবির:-বলেন কি রিকোয়েস্ট…
নিদি:-শুধু আমি বললে হবে না, আপনাকে রাখতেই হবে
আবির:-বলেন….
নিদি:-আমাদের বাড়িতে দুই রুম এর একটি ঘর খালি আছে।আর আপনি ঐটাতে থাকবেন।
আবির:-না মানে…
নদি:-আপনার মানে আপনার কাছেই রাখুন।ভাড়া দিতে হবে না শুধু আপনি থাকবেন।
আবির:-এটা কি ঠিক হবে..
নিদি:-কেন ঠিক হবে না,একশো বার ঠিক হবে।আমি এত কিছু শুনতে চাই না,আপনি থাকছেন এটাই ব্যাস।
এই বলে নিদি ফোনটা কেটে দিল।নিদি এত জোর করছিল যে আবির আর না বলতে পারেনি।তবে নিদি আজ অনেক খুসি।কারণ সে আজ তার উপকারীর একটা সামান্য উপকার করতে পেরেছে।এটা নিদির কাছে সামান্য হলেও আবিরের কাছে মোটেও সামান্য নয়।
গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প