ব্যাচেলরের জীবন যাপন

ব্যাচেলরের জীবন যাপন

বেচারা ব্যাচেলরদের নিয়ে তোফা সিনেমা দেখেছেন, হয়েছে আর্টফিল্মও। কিন্তু ব্যাচেলর বিষয়ক রম্য বোধ করি পড়া হয়নি আগে। মুখরা আপাতত এটুকুই, এবার মূল সংগীতে আসুন। সেদিন হল কি, রাস্তার মধ্যিখানে সহসাই দেখা হয়ে গেল এক পুরনো বন্ধুর সাথে। পুরনো মানে জামা-কাপড়ের মতো ফেঁসোওঠা রঙজ¦লা কেউ নয়। রীতিমতো প্রাণের বন্ধু, স্কুলজীবনে ওর সাথে মেলা কা–কীর্তি করেছি। সিনেমা দেখা থেকে পালিয়ে যাত্রাপালা- কি না করেছি এককালে।

বন্ধু বলল বাসায় চল। মেলা দিন আলাপ হয়নি। আজ জমিয়ে বসে আড্ডা মারা যাবে। শুনে মনে মনে খুশি হলাম। ইউনি-জীবন সদ্য শেষ হয়েছে। কাজ-কামের ধান্ধায় কাটছে সময়। এমন বেকার টাইমে বন্ধুর আন্তরিক আবাহন আমাকে আবিষ্ট করে। অমনি আমি তার প্রস্তাবে সানন্দে রাজি হয়ে যাই।

সাঁজের মুখে ঢুকি তার ডেরায়। ব্যাচেলর বন্ধু আমার- তাই খুব একটা সান-শওকত আশা করিনি। কিন্তু ব্যাচেলরের ডেরা যে এমন হয়, জানা ছিল না। কারণ লাস্ট ফাইভ ইয়ারস আমি আবাসিক হলে ছিলাম। এখনও আছি। কিছুটা বাড়তি সময়। ছোটভাইয়েরা ভ্রুকুটিপূর্ণ তেরছা চাহনিতে বুঝিয়ে দেয়- ওরে ব্যাটা আদুভাই, আর কত। এবার মানে মানে কেটে পড়ো। আমরা একটু শান্তিতে দিন গুজরান করি।

আমি কিন্তু ওদের চোখের ভাষা বুঝি না। মানে বুঝতে চাই না। বুঝলেই বিপদ। লোটাকম্বল নিয়ে বাসার আশায় ভাড়া গুনতে হবে। তারচে একটু মটকা মেরে চোখের চামড়া ছেঁটে পড়ে থাকলেই হয়! হল তো আর কারো বাপের নয়, ওটা রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমরা রাষ্ট্রের ‘সুশিক্ষিত’ নাগরিক। আপন ভাবলে আপন, এত দিনের ঘর! মিছে করবো কেন পর!

সে যাক গে। বন্ধু আমাকে কাছে পেয়ে যেন ঈদের চাঁদ হাতে পেল। কতোদিনের জমানো কথা, আদুরে স্মৃতি- সব ঝাঁপি মেলে বসলো। একরুমের খুপরি বাসা। আয়তন একুনে দুশ স্কয়ারফিটের বেশি নয়। এখানে টানা বেশিদিন থাকলে আমার ফিটের ব্যামো হবে, এ-কথা হলপ করে বলতে পারি।

ছোট্ট পায়রার খোপের এককোণে সিঙ্গেল উনুন। গ্যাস-সংযোগ নেই। কখনও চেলাকাঠ, আবার কখনও ট্যাঁকে টাকা বুঝে সিলিন্ডার গ্যাসযোগে রান্না হয়। বাথরুম শেয়ারে, পাশের আরো দুটি রুমের সাথে। তিনরুমে সর্বমোট বাসিন্দার সংখ্যা তিন-তিনে নয়। বিছানা অবশ্য একটাই। একবেডে তিনজন সোমত্ত পুরুষ। নারী-পুরুষ মিক্সচার হলেও না হয় কথা ছিল। চুম্বকের বিপরীত মেরুর মতো একে অপরকে জড়িয়ে ধরে পুঁইলতার মতোন পড়ে থাকতো।

বন্ধুর নাম মিহির। বলি ভায়া, এখানে তিনজনের জায়গা হয়? সরল প্রশ্ন, গরল উত্তর। মিহির বলল, দোস্ত, হওয়ালেই হয়। মনে নেই ব্যাকরণে পড়তাম, যদি হয় সুজন, তেঁতুল পাতায় ন’জন। বাস্তবিকই এই খুপরির এক বোর্ডারের নাম সুজন। এদের শোবার পদ্ধতিটা কিন্তু খুব বিজ্ঞানসম্মত। মানে এদিক-ওদিক মাথা দিয়ে শোয়। একজনের মাতা পুবে তো অপরজনের পশ্চিমে। এতে জায়গা সাশ্রয় হয়, যদিও নড়াচড়ার অভ্যেস থাকলে রাতে ঘুমের ঘোরে লাত্থি খাবার সম্ভাবনা থাকে।

মধ্যরাত অবধি মেলা গল্প হল। মিহিরের ঘরের বাকি দুজন আজ নেই। গাঁয়ে গেছে তাই রক্ষে। এইটুকুন ঘরে তিন প্লাস এক মোট চারজন শোবার কথা ভাবতেই পারি না আমি। খিদে পেয়েছে, অথচ রান্নার তেমন কোন আয়োজন চোখে পড়ে না। উসখুস করি আমি। বলতে চাই, মিহির, ডিনারে কী আহার হবে ভাই! রান্নার জোগাড় দেখছি না তো।

মিহির আমাকে সে ফুরসত দেয় না। একের পর এক পুরনো গল্প ফেঁদে বসে। যেন আরব্য রজনীর সেই শাহারজাদী আর দুনিয়ারজাদীর কাহিনীর মতো গল্পে গল্পে রাত্রিপার। আমি কিন্তু খিদে সইতে পারি না। আলালের ঘরের দুলাল কিনা, খিদে পেলেই অমনি পেটে মোচড় মারে। শেষে লাজলজ্জার মাথা খুইয়ে বলে বসি, মিহির দোস্ত, রাতে তোদের মেনু কী! মানে কী খাস?

ওহ হো হো, মেন্যু! যা যখন পাই কিছু একটা মুখে দিয়ে মটকা মেরে পড়ে থাকি। আসলে কি জানিস তো, রাতে বেশি খেয়ে লাভ নেই। খেয়ে তো আর কাজে যাবো না। মিছে ক্যালরি বাজে খরচ। তাই রাতের খাবার হয় সবচে স্বল্প ও সুপাচ্য। দেশটাকে তো গড়তে হবে, নাকি! ¯্রফে খেয়ে খেয়ে পেট ঢোল করে কী হবে বল!

আমি ততক্ষণে বুঝে গেছি ছাপোষা ব্যাচেলরের কান্নার কাহিনী। এরা বোধ হয় পেটে পাথর বেঁধেই বাঁচে। খিদের ভয়ে রাস্তা থেকে ধরে আনে কোন পুরনো বন্ধু। তারপর রাতভর গল্প করে, যাতে ক্ষুধাবোধ বেগড়বাই করতে না পারে।

মিহির অবশ্য বলল, একেবারে না খেয়ে কাটাই না। তাতে পিত্ত পড়ে। সচরাচর মুড়ি আর চানাচুর দিয়ে রাত কাবার। তবে আজ তুই আছিস বলে কিছু বিশেষ আয়েজন আছে। পরনো বন্ধু বলে কথা! সেই আয়োজনটা কী শুনি? আমি ডাইরেক্ট প্রশ্ন করি। পেটে ডজনখানেক ছুঁচো ডন মারলে কী করি বলুন। ও ফিচেল হেসে বলল, দোস্ত, স্যান্ডউইচ। খাসা খানা। মিহির এমনভাবে হাসে যেন বিশ^জয় করে বসে আছে।

সে কি! এর তো মেলা দাম। এতরাতে স্যান্ডউইচ পেলি কোত্থেকে? আমি মনে মনে খুশি হই। ও জিনিস মেলা দিন চাখা হয় নি। ছাত্র ঠেঙাতে গেলে আগে মাঝে মাঝে খেতাম। এখন ছাত্রের বাপ-মা চালাক হয়ে গেছে। দামি কিছু খেতে দেয় না। বেশি খেয়ে যদি ঝিমুনি পায়! দিলেও শেষ দিকে দেয়, যখন ছাত্রের পড়াশুনো শেষ।

মিহিরের রকমসকম দেখে আমার তীব্র সন্দেহ হয়। এত রাতে ও স্যান্ডউইচ কোথায় পাবে! নাকি মিছে স্তোক দিচ্ছে। আরো ঘণ্টাটাক পরে মিহির উনুনের কাছে যায়। দুটো পায়রার ডিম (ওর মতে মুরগির ডিম। দেখতে যদিও মার্বেলের মতো গুলটু গুলটু) বাটিতে ফেটে রাখে। তারপর কিঞ্চিত তেলবাচক বস্তু দেয় কড়ায়। ডিমদুটো আগে থেকেই ফাটা। অভিজ্ঞতাসূত্র জানি, বাজারে ফাটাডিমের দাম কম। কারণ গেরস্থরা এসব নেয় না। হোটেলে সস্তায় বিক্রি হয়। কিছু পচাও থাকে। সামান্য গ্যাস জে¦লে ডিমের ওমলেট বানায় মিহির। তারপর তৃপ্ত হেসে বলে, চল, এবার বসে পড়ি। রসনা-বিলাস করি।

মানে! কেন বসবি! কিসে! আমি তাজ্জব। খুপরির ভিতর নো খাট, আসবাব বলতে একখানা ছোট্ট তেঠ্যাঙা টেবিলমতোন। তাতে বসা দূরে থাক, কিছু রাখলেই অমনি ঢলে পড়ে। মিষ্টির প্যাকেটের প্লাস্টিক দড়িতে ঝুলছে নোংরা লুঙ্গি ও জামা। একে দারিদ্র্য বলবো, নাকি ব্যাচেলরশিপ বুঝতে পারি না। মিহির কাগজের ঠোঙায় পেঁচানো একটুকরো বাসি রুটি বের করে ডিমটুকু দু’টুকরো করে বেটে তাতে জড়িয়ে নেয়। তারপর আমার হাতে দিয়ে বলে, নে দোস্ত, স্যান্ডউইচ খা। খেয়ে দেখ, ফাসকাস!

সবার এমন করুণ দশা, তা কিন্তু বলছি না। তবে মানুষ হিসেবে ব্যাচলররা যে বিশেষ সমীহের স্তরে নেই, এটা কিন্তু প্রমাণনিরপেক্ষ ব্যাপার। একে তো ব্যাচেলরদের কোন চালচুলো থাকে না, এদের আবার কেউ বিশেষ পাত্তাটাত্তা দেয় না। না দেবার কারণও আছে। শেকড়ের টান না থাকলে তারা যে কোন অপরাধ করে বসবে, এমন ধারণা সমাজে পুরাকাল থেকে প্রচলিত। এরা যেখানে রাত সেখানেই কাত।

এমনও শোনা যায়, ব্যাচেলরদের একটা করে পিঠব্যাগ (কেতাবি ভাষায় কিটব্যাগ, ব্যাগপ্যাক বা রুকশ্যাক) সব সময় প্রস্তুত থাকে। কেউ একটু পু করে ডাকতে পারলেই ছুটে যায় সেখানে। সপ্তাহান্তে এমন ডাকের আশায় বেশি থাকে এরা। একবার গিয়ে থানা গাড়তে পারলেই দুটো দিনের হিল্লে হয়ে গেল। নো খরচা নো পাতি। বেশ আপসে দিবস পার।

তবে ব্যাচেলররা কিন্তু যথেষ্ট দিলদার হয়। কী, ভুল শুনছেন! হবে হয়তো। ওরা দিলদার নয়, ডিমদার। ডিমদার ? সে আবার কী? কৌতূহলীরা কানখাড়া করেন।

ব্যাচেলরদের ডিমেরই কারবার। তাই ওরা ডিমদার। ফুলস্ক্যাপ নয়, ওরা ডিমাই সাইজের কাগজ কেনে। দামে সস্তা। খাদ্যখানা যাই বলুন, ডিম সাথে আছে। ডিমের ওমলেট, ডিম সেদ্ধ, ডিম-স্যান্ডউইচ (মিহিরের ঘরে যা খেয়ে এসেছি আমি), ডিম দিয়ে ছোলা, ডিমের কাটলেট, ডিমালু (ডিম দিয়ে আলুর ঝোল। সবচে কমন খাবার ব্যাচেলরের ডেরায়) ইত্যাদি ওদের মেনুতে থাকবেই। এরপরও আপনি বলবেন ওরা দিলদার, ডিমদার নয়!

এদের খাদ্যতালিকায় মুড়ি-চানাচুর একটি বিশেষ আইটেম। সাথে আদা-চা। শোনা যায়, এদের চায়ের পাতি নাকি একটি বিশেষ স্থান থেকে আসে। মানে কফিনের ভিতর লাশের পাশের পাতি। যা দিয়ে লাশের দুর্গন্ধ চাপা দেয়া হয়। নিন্দুকের মুখের কথা তো, তাই খুব একটা আমলে নিলাম না। তবে যা রটে, তা কিছু হলেও বটে।

ইদানীং ওরা পড়েছে এক মহা মুসিবতে। শুনেছেন বোধ হয়, হালে দেশে একপ্রকার গুটিপোকার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ওরা নব্য টেররিস্ট। মানুষ মেরে দেশের কিছু একটা ইয়ে করতে চায়। যাকেতাকে মেরে ফেলে, মরে যায় নিজে। বুঝি না এতে ওরা মজা পায় কি যে! ছড়া হল, হোক না। বেতালা জীবনে টুকটাক তাল এলে ক্ষতি কি!

বিশেষ জরিপে দেখা গেছে টেররিস্ট মানেই ব্যাচেলর। অবশ্য ব্যাচেলর মানেই টেররিস্ট- একথা বলতে মন কিছুতেই সায় দেয় না। কারণ এককালে অমন ‘ছারপোকার’ জীবন আমিও যে পার করেছি। বাসা ভাড়া নিতে যাবেন, মুখের উপর দোর বন্ধ করে দিয়ে বলবে, ব্যাচেলরদের জন্য নয়। যাও, রাস্তা দেখো। এমনভাবে বলবে যেন আপনি নর্দমার কীট বা বিছানার বিঁছা।

বা যদি কেউ ভাড়া দেয়ও, এমন সব শর্ত জুড়ে দেবে যে তারচে গলায় ফাঁস লাগানো ঢের আনন্দের। হয়তো বলবে, ভুলেও ছাদে যাওয়া যাবে না। মেপেজুপে কাশি দিতে হবে, কোনক্রমেই দিনে কুড়িটার বেশি কাশি নয়। যখন তখন হাসা যাবে না বা হাসলেও যেন দাঁত দেখা না যায়! বাড়িঅলার সুশ্রী সোমত্ত মেয়ে আছে তাই সিঁড়িতে বসা যাবে না। বা বসলেও লুঙ্গিপরে নয়। (তবে কি উদোম দেহে!)

সবচে ভয়ঙ্কর কথা- আপনাকে সবাই সন্দেহ করবে। যেন কারো না কারো পাছায় বাঁশ (আনকিন) প্রবিষ্ট করার জন্যই বাসাভাড়া নিয়েছেন আপনি। বাসার পাশের মুদি আপনাকে বাকিতে দু’টাকার নুনও দেবে না। কারণ আপনি কখন ভাগবেন ভগবানও জানে না। সব সময় একটা চোরচোর ভাব নিয়ে থাকতে হবে। হাসলে দোষ, কাশলে মহা দোষ, আর ভুল করে যদি কোন বান্ধবীকে নিয়ে ডেরায় ঢোকার চেষ্টা করেন তো পত্রপাঠ বিদায়। যেন ব্যাচেলরের নয়, বান্ধবী কেবল বিবাহিত পুরুষদেরই থাকতে হবে। এরেই বলে তেলা মাথায় তেল। টু ক্যারি কোল টু নিউক্যাসল। শালা দুনিয়াটাই স্বার্থপরের স্বর্গরাজ্য। অভাগা ব্যাচেলরের কথা কেউ ভাবে না। মিহিরের কাছেই গল্পটা শোনা। টেররিজমের আমলে এক বন্ধু বুদ্ধি দিল, চল একটা বিয়ে করি।

বিয়ে করবি মানে? আর ইউ ম্যাড! পাগলে ছাড়া বিয়ে করে! ছাগল বিনে কেউ কাঁঠালপাতা খায়! মিহির যেন আকাশ থেকে পড়লো।
আহা রে, ফুল বিয়ে নয়, পার্টটাইম। সে আবার কী? মিহিরের চোখ যেন কাঁঠালের কোয়া। সে সর্ষেফুল দেখছে।

পার্টটাইম জব যখন আছে পার্টটাইম বিয়েও হবে। মানে ভাড়াটে বউ। সমঝদার বন্ধু বুঝিয়ে বলল। জাস্ট বাসা ভাড়া নেবার জন্যই স্বল্পকালের জন্য বউ ভাড়া নিতে হবে। ইন রোম, ডু অ্যাজ দ্য রোমানস ডু। ভেবে দেখো বন্ধু, ¯্রােতের বিপরীতে সাঁতরে ডুববে, নাকি একটু কৌশলী হবে! চয়েস ইজ ইওরস। পরে অবশ্য বাসাটা ওরা পেয়েছিল। কারণ কাকদর্শন মেয়ের কন্যাদায়গ্রস্ত বাড়িঅলা বাপও তো আছে, নাকি!

চলুন এবার নচিকেতার গানে যাই। পুরুষ দুরকম- জীবিত ও বিবাহিত। তার মানে বিয়ে হলে মেয়ের কুমারিত্ব হরণ হয়, আর পুরুষের যায় প্রাণ। বেঁচেবর্তে থাকলে তবেই না কৌমার্য। তাই বুঝমান মানুষ সহসা বিয়ের ধারেকাছে ঘেঁষে না। গলিগমনে রতিকাজ সেরে নেয়। কিন্তু অবস্থা এখন এমনই বেগতিক- ব্যাচেলর হলেই টেররিজমের দায়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। সেখানে মৃত্যুভয়! এবার আপনিই ঠিক করুন, বিয়ে করে মরবেন, নাকি না-করেই! বউ পেলে শালি ফ্রি। ভুলে যাবেন না, শ^শুরবাড়ি মধুর হাঁড়ি, দুদিন পরে লাঠির বাড়ি। ব্যাচেলর জীবন নিয়ে বেঁচেই বা কী লাভ। মাথাগোঁজার ঠাঁই তো পাবেন না। হাটুরে কুকুরের মতোন পেঁকো রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে মরবেন।

এ যেন উভয়সঙ্কট। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ! বানের পানি, পোড়ায় আগ। আগ মানে আগুন। আগুন-জল দুদিকেই যদি মারি তো ব্যাচেলর ভাইয়েরা যাবেন কোথায়! তাই বাড়িঅলাদের বলি, ব্যাচেলদের দূর দূর করে তাড়ানের আগে একটিবার ভাবুন, ওরাও মানুষ। আপনারও মেয়ে আছে-প্রণয়কাতর। মন দিয়ে শুনুন-

কুঁজোরও সাধ হয় চিৎ হয়ে শুতে ল্যাংড়ার মন কয় হিমালয় ডিঙাতে দিন না একটা রুম, আয়েশ করে শুক আপনার মেয়েকে নিয়ে বুকটা বাঁধুক। বিয়ে করে বাউন্ডুলে হোক সংসারী ব্যাচেলর বলে, দেখ আমরাও পারি।

গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত