গোপলা খুব করিৎকর্মা বলে পাড়ায় না ডাক আছে । উৎসব অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে শ্মশানযাত্রা সবেতেই তাকে পাওয়া যায় । ডাকতে পর্যন্ত হয় না । শুধু খবর পেলেই হল ।
পড়াশুনা যতটুকু করেছে তাতেই চালিয়ে নেয় । খুব অসুবিধা হয় না । এক ডিপোতে মহাজনের কাছে কাজ করে । মহাজনও জানে এর উপর ভরসা করে সব কিছু ছেড়ে দেওয়া যায় । আবার কোথাও কোন খবর পেলে এখুনি সব বন্ধ করে চলে যাবে । তাই আর একজনকেও পাশে রেখেছে । সে শুধু থাকে কিছু করে না ।
এ রকম একদিন বাস রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টের জন্য সারাটা দুপুর কাজ করল । ঘরে মা খাওয়ার নিয়ে অপেক্ষা করে পেল সেই রাতে । জিজ্ঞেস করার দরকার হল না ।
সেই গোপলার মা এক মাঝরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল । গ্রামে গাড়ি পাওয়া মুশকিল । দাদাও নেই । পাড়ার লোক ডাকল অনেকেই বলল -ও গ্যাসের জন্য হচ্ছে । অম্বলের ট্যাবলেট খাইয়ে রাখ । সকালে দেখা যাবে ।
কিন্তু আরো শরীর খারাপ হওয়ায় মাকে প্রায় কোলে করে ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়েছিল । তিনদিন পরে সারিয়ে এনেছিল । এ কথা সকলের মুখে মুখে ঘোরে ।
এখনও গ্রামে গোপলা ঝাঁপিয়ে পড়ে আর গোপলাকে আলাদা করে চেনাতে শেখায় ।