পর্দাহীনভাবে চলাফেরার পরিণাম

পর্দাহীনভাবে চলাফেরার পরিণাম

রাইসা বেগমের দুটি মেয়ে। বড় মেয়ের নাম “সাদিয়া জাহান”, এবং ছোট মেয়ের নাম “‘নুসরাত জাহান”।
বড় মেয়ে পড়েন একটা মহিলা মাদ্রাসায়, আর ছোটো মেয়ে পড়েন স্কুলে।
দুজনেই এখন যথেষ্ট বড় হয়েছে, বড় মেয়ে  “হেফজ” শেষ করে কোরআনের হাফেজ। অন্যদিকে ছোটো মেয়ে স্কুল শেষ করে কলেজে উঠেছে।
মহিলা মাদ্রাসায় পড়ার জন্য সাদিয়া সবসময় হিজাব পড়তো, এবং এমনভাবে পর্দা করতেন যেনো কেউ তার শরীরের একটা অংশও না দেখতে পায়।
স্কুল কলেজে পড়ার জন্য নুসরাত সবসময় ছোটো ছোটো জামা কাপড় পড়তো,

যার ফলে তার শরীরের বিশেষ অংশ ছাড়া বাকি সব কিছুই দেখা যেতো।
.
.
ওহ বলতেই ভুলে গেছি, রাইসা বেগমের স্বামী সরকারী চাকরিজীবী।
সরকারী কর্মকর্তা হওয়ার কারনে, একবার তাকে বদলি হতে হয়।
যার ফলে, সবাই নতুন একটা জায়গায় চলে যায়।
.
.
একদিন সাদিয়া আর নুসরাত একসাথে মার্কেটে যাচ্ছে।
(সাদিয়া হিজাব আর নুসরাত শর্ট কাপড় পড়ে।)
তারা যখন বাসা থেকে বের হয়, তখন তাদের বাসার সামনে একটা মোড় দিয়ে যেতে হয়।
সেই রাস্তার মোড়ে কিছু বখাটে ছেলে আড্ডা দেয়।
বখাটে ছেলেদের মধ্যে শান্ত নামক একটা ছেলে নুসরাতকে দেখে পাগল হয়ে যায়।
এবং সে নুসরাতের পিছনে পিছনে আসা শুরু করে।
.
.
তারা সিএনজি স্টেশন চলে আসে। কোনো কারনে আজ সেখানে দুইটার বেশি সিএনজি নেই।
আসচর্যের বিষয় হচ্ছে, দুটো সিনজিতেই যাত্রিতে পরিপুন্য।
কিন্তু কোনোমত সিএনজি দুটাতে একজন করে বসতে পারতো ।
তারা কোনো উপায় না দেখে দুইজন দুই সিএনজিতে উঠতে বাধ্য হয়।
.
.
সিএনজিতে উঠার পর।
সাদিয়া যে সিএনজিতে উঠেতেছিলো, সে সিএনজিতে একটা লোক সিগারেট খাচ্ছিলো, কিন্তু হিজাব করা মেয়ে উঠতে দেখে সিগারেটটা ফেলে দেয়।
অপরদিকে নুসরাত যে সিএনজিতে উঠেছে, তার ছোট কাপড় পড়ার কারনে সবাই তাকে ইভটিজিং করা শুরু করে।
.
.
কয়েকদিন পরের কথা,
নুসরাত রোজ কলেজে যায়, এবং বখাটে ছেলে শান্ত তার পিছে লেগেই থাকে।
আবার সাদিয়া একটা মহিলা মাদ্রাসায় যায়, সেও সেই রাস্তা দিয়েই যায় কিন্তু তাকে কেউই ডিস্ট্রাব করেনা।
.
.
,,
একদিনের কথা শান্ত ও তার বন্ধু সুজন কথা বলতেছে ::
–দোস্ত মেয়েটাতো কোনোভাবেই পটে না ( শান্ত)
.
— আজকে প্রপোজ করে দেখ ( সুজন)
.
— যদি রাজি না হয় (শান্ত)
.
— আরে বেটা রাজি নাহলে, আমরা আছি না, শালিরে জোর করে ধইরা ঐ পোড়া বাড়িতে নিয়ে যামু,

তারপর তুই তোর মনের আশা পুরন করবি (সুজন)
.
— ওকে দোস্ত তোরা সবাই ওই সামনের গাছটার নিচে দাঁড়া, ও আসলেই প্রপোজ করমু, রাজি নাহলে তোরাতো আছিসই। (শান্ত)
.
.
তারপর সবাই উঁত পেতে থাকে কখন নুসরাত আসবে।
.
কিছুক্ষন পর নুসরাত আসে, এবং শান্ত তাকে প্রপোজ করে।
কিন্তু নুসরাত রাজি হয়না।
রাজি না হওয়াতে তাকে সবাই জোড় করে সেই পোঁড়া বাড়িতে নিয়ে যায়, এবং গনধর্ষন করে।
পরের দিন নুসরাতের লাশ পড়ে থাকে সেই বাড়িতে। সে এটা সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্ত্যা করে।
আজ সুধু পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করার জন্য,তাকে আজ জীবন দিতে হলো, তার সতিত্ন হারাতে হলো।
.
.
আসা করি সবাই পর্দাকরে চলাফেরা করবেন।
কারন আপনি নিজেই বুঝতে পারলেন, পর্দাহীনতার করনে কি হতে পারে।
তাছাড়া প্রত্তেকটা নারীই তার স্বামীর আমানত, যে আমানতের খেয়ানত করবে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত