রেইকি REIKI জাপানি শব্দ যার অর্থ মহাজাগতিক প্রাণশক্তি। রেইকি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাপানী বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির নাম। যাকে এক কথায় বলা হয় স্পর্শচিকিৎসা (Touch healing)। কেবলমাত্র দু-হাতের তালুর স্পর্শেই সকল রোগ সেরে যায়। সাধারণ ঠান্ডা লাগা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত- যে কোন রোগ। সেটা দৈহিক বা মানসিক, আত্মিক, সাধারণ বা জটিল যাই হোক না কেন। কোনরকম ওষুধ বা রক্তক্ষরণ ছাড়াই রেইকি চিকিৎসা আপনাকে সুস্থ করে তোলে। শুধুমাত্র হাতের ছোয়ায় সহজ থেকে দূরারোগ্য সকল ব্যাধির আরোগ্য সাধন করে- মানুষের, গাছ-পালার, পশু-পাখির, জীব-জন্তুর কিংবা জড়বস্তুর। আমাদের সবার মাঝেই এই শক্তি বিদ্যমান সর্বদা।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে রেইকির মাধ্যমে আমাদের শরীরের ও মস্তিষ্কের এনার্জি প্রবাহ বাড়ে। সেই বর্ধিত এনার্জি আমাদের হাতের তালু দিয়ে বের হয়। রেইকি যে কোনো রোগের জন্যই খুব ভালো কাজ করে। সাধারণ মাথাব্যাথা, মাইগ্রেন বা যে কোন ধরণের বাত-ব্যাথা, আর্থাইটিস, এলার্জি, আলসার, হৃদরোগ, পুড়ে যাওয়া, পিঠের ব্যাথা, পেটের রোগ, কিডনির রোগ, পিত্তের রোগ, লিভার সমস্যা, অনিদ্রা, ইত্যাদি সকল সাধারণ ও জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব। পলিও আক্রান্ত, অংগ বিকৃত রোগীদের জটিল অবস্থায়ও রেইকিতে সুফল পাওয়া যায়। রেইকি রোগের উৎপত্তিস্থলে গিয়ে সম্পূর্ণ আরোগ্য করে।
গাছপালা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ সকল জীব এবং জড়বস্তুতেও রেইকি প্রয়োগ করে চমৎকার ফল পাওয়া যায় । সাধারণ চিকিৎসার চেয়ে অনেক কম সময়ে অনেক বেশী সুস্থতা পাওয়া যায় । তবে অপেরাটিভ মানে অপারেশন করতে হবে বা ক্রোনিক যে কোন রোগ এই দুটো ক্ষেত্রে ঝুঁকি না নেয়াই ভাল। যেমন ধরুন ক্যান্সার লাস্ট স্টেজ তাকে এইটা দিয়ে যতদিনে ঠিক করবেন তার হয়তো অত সময় নেই। তবে আমাদের উচিৎ রোগী বেঁচে থাকা পর্যন্ত রেইকি চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া। কারণ রেইকি দিয়ে ভীষণ খারাপ অবস্থার রোগীও সম্পূর্ণ সুস্থ ও নিরোগ হয়ে ওঠেন। ডাক্তার হয়তো বলে দিয়েছে আর বাঁচবেন না, এক- দু মাসের বেশি এমন রোগীও অনেক বছর সুস্থ ভাবে বেঁচে আছেন।
রেইকি করতে কোন প্রকার খারাপ বা কুফরী করা লাগে না। কোন যন্ত্রপাতি ও লাগে না। রেইকি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যে খুব ভালো। এখানে বিশ্বাসের কিছু নাই, আপনি এটা বিশ্বাস না করলেও কাজ হয় ওষুধের মত। রেইকি দিলে যদি রোগীর বাঁচার হয় খুব দ্রুত আইসিইউ থেকে বের হয়। তাই বলে রেইকি মাস্টাররা আপনাকে বলবেনা হসপিটাল থেকে বাসায় নিয়ে চলেন শুধু রেইকি দিব।তারা এক মাধ্যমে চেষ্টা করছে অন্য কোনো মাধ্যমের সাথে চেষ্টা করলে আরও দ্রুত ফল হয়। মানে সমস্যায় সবদিক দিয়ে আক্রমণ করা। বাচ্চা হয়না এমন দম্পতিদের ক্ষেত্রে কিছু সহজ মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলা হয়, যেমনঃ রোগীর গর্ভাশয় আছে নাকি ইত্যাদি। কারণ অনেকে গর্ভাশয় না থাকার কারণে গর্ভধারণ করতে পারেন না, রেইকি সেলুলার লেভেলে কাজ করেনা তাই সেই রোগীকে দিলে কোন ফল হবেনা। রেইকি দিয়ে যেসব শিশু জন্ম নেয় তারা হয় সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত সুস্থ, ভালো মেধাসম্পন্ন। গর্ভাবস্থায় বা যে কোন অপারেশনের পর রোগীকে রেইকি দিলে আরও দ্রুত সুস্থ হয়, ইনফেকশন বা অন্য জটিলতা হবার সম্ভাবনা থাকে না। তোতলা, কানে কম শোনা রোগীদেরও নার্ভের সমস্যা দূর করে মাত্র কয়েকমাসে শতভাগ শ্রবণ শক্তি ফিরিয়ে আনা যায়।
আত্নহত্যার প্রবণতা, মাদকাসক্তি, মানসিক সমস্যা, জ্বীন বা ব্ল্যাক ম্যাজিক এর সমস্যাও খুব সহজেই দূর করা যায়। জ্বীন, ব্ল্যাক ম্যাজিক এ আক্রান্ত জমি, বাড়ি, বা মানুষ সেটা আসলেই প্যারানরমাল হোক আর মানসিক হোক রেইকি দিয়ে ঠিক হয় এবং পরে আর কখনও হবার সম্ভাবনা থাকেনা। অনেক রোগ আছে মানসিক, শারীরিক, যেগুলোর চিকিৎসা এখনও আবিষ্কার হয়নি সেসব রোগীরাও সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যায়। রেইকি এনার্জি হিলিং পদ্ধতি গুলোর একটি।বর্তমানে সারাবিশ্বে বহু ধরনের রেইকি প্রচলিত থাকলেও সবার ভিত্তি জাপানি উসুই রেইকি। W.H.O. ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেশন দ্বারা স্বীকৃত। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল চিকিৎসা পদ্ধতি এটি।
বি:দ্র: REIKI ইসলামে হারাম….!