বাড়ীর বড় মেয়ে নীলান্তি ফেরদৌস বেশ মর্ডান।বলা চলে এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বেশ অভ্যস্ত।আর ছোট মেয়ে ফাতেমা ফেরদৌস সম্পূর্ণ এর বিপরীত স্বভাবের মেয়ে,এককথায় ধার্মিক।ফাতেমা বাইরে বের হলে তার হাতের নখ পর্যন্ত দেখা যায় না।একই পরিবারের দুই বোন দুইরকম।তবে নীলান্তি কে অনেকবার বুঝিয়েছে তার পরিবারের সবাই কিন্তু কোন কাজ হয়নি।এরই মধ্যে ফাতেমা ডাকতে শুরু করল-
-এই আপু তোর আর কতক্ষণ লাগবে?
-এই তো হয়ে গেলো।
-আর এসব কী পোশাক পড়েছিস?
-কেন ঠিকই তো আছে।
-কই ঠিকআছে,এসব পোশাক পরার থেকে তো না পড়ায় ভাল।
-ঐ চুপ কর!!তুই এত সব বুঝবি না।
-দেখা করতে যাচ্ছিস,একটু শালীনতা বজায় রেখে গেলে কী ক্ষতি হবে তোর?
-ছেলে বিদেশ ফেরত,বেশ উচ্চ শিক্ষিত,নিশ্চয়ই সেও এসবই পছন্দ করে গাইয়া তো নয়।
-শোন এমন ভাবাটা ভুল।সবাই কিন্তু একরকম না।পরে আবার আফসোস করতে হয় না যেন।
-থাক থাক তোকে আর জ্ঞান দিতে হবে না।তুই কী বোরখা পড়েই যাবি?
-হ্যাঁ আমি বোরখা পড়েই যাবো।
-একদম বুড়িদের মত লাগে তোকে হিজাব করলে।কিছুই দেখা যায় না।।
-লাগে লাগুক,আর আমাকে আমার বর ছাড়া কেউ দেখবে না।
-আর এই গরমের মধ্যে.?
-জাহান্নামের আগুন আরো বেশী গরম।তোর মনে না থাকলেও আমার মনে আছে।
-হয়েছে এবার থাম।চল এবার।
নীলান্তির বিয়ের জন্য পাত্র ঠিক করা হয়েছে।সেই পাত্রের সাথেই আজ দেখা করতে যাচ্ছে ।তাই আজ বেশ সাজুগুজু করেছে নীলান্তি।ছেলেটার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য দুইবোন বেরিয়ে পড়ে।দুইবোন রিক্সা করে যাচ্ছে…এরই মধ্যে ফাতেমা বলল-
-এই আপু দেখছিস ছেলেগুলো কিভাবে তাকাচ্ছে?আর কী সব বলছে।
-হুমম,, তোর দিকে না আমার দিকে তাকাচ্ছে।কারণ আমি অনেক সুন্দর করে সেজেছি।
-তোর এসব ভাল্লাগে আমার লাগে না বুঝছিস।
-তুই চুপ করবি,এসব একটু রংঢং করতে হয়।আর ছেলেরাও মজা নেয় সাথে আমিও।
ফাতেমা আর কিছু বলে না।চুপ করে বসে থাকে।তবে তার এসব বড্ড বিরক্তি লাগে।ফাতেমা বোরখা পড়ে খুব সুন্দর করে হিজাব করেছে।পথের মাঝেই ফাতেমার ফোন আসে।তার বান্ধবি তার সাথে দেখা করতে চায় এই মূহুর্তে।ফাতেমা তার বোন কে একাই চলে যেতে বলে।নীলান্তিও ফাতেমাকে বিদায় দিয়ে দেয়।এর কিছুক্ষণ পরেই নীলান্তি জে,এফ,সি কফিসপে পৌঁছিয়ে যায়।কিছু সময় এদিক ওদিক তাকিয়েই ছেলেটিকে দেখতে পাই।নীলান্তি সামনে গিয়ে কথা বলতে শুরু করে-
-হায় আমি নীলান্তি।আপনি নিশ্চয়ই মাহিন?
>মাহিন একটু নীলান্তির দিকে তাকিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিলো।
-জ্বী আমিই মাহিন।
-তা কেমন লাগছে আমাকে?
-জ্বী” ভাল লাগছে। [বিরক্তি নিয়ে]
-আপনি কী কম কথা বলেন?
-নাহহ্,তেমনটা না।আপনাকে একটা কথা বলি?
-হ্যাঁ অব্যশই।
-আপনি কী সব সময় এরকমই পোশাক পড়েন?
-হ্যাঁ এমনই পড়ি,কেন আপনার পছন্দ না?
-আসলে মানে…
>মাহিনের কথা শেষ না হতেই নীলান্তি বলে উঠল-
-আরে আপনি তো বিদেশ ফেরত, আপনার তো এমনই পছন্দ হওয়ার কথা।
>মাহিন আর কিছু বলে না।ওয়েটার কে ডেকে দুইটা কফির অর্ডার দিয়ে দেয়।
দুজনে কফির খাওয়ার সাথে সাথে হালকা আরো কিছু কথা বলতে লাগল।তবে মাহিন এখনো কথা বলছে বেশ বিরক্তি নিয়ে।সেটা নীলান্তিও কিছুটা বুঝতে পেরেছে।এর কিছুক্ষণ পরেই মাহিন বলে উঠল-
-আমার একটা গুরুত্বপূর্ন কাজ পড়ে গেছে তো এখনই যেতে হবে আমাকে।
-আর একটু থাকলে হতো না?
-নাহহ,আসলে পরে আরেকদিন কথা হবে।
-আচ্ছা।
মাহিন বের হওয়ার সাথে সাথে ফাতেমা হাজির হলো।এসে দেখে নীলান্তী বসে আছে…
-কিরে আপু একা কেন?উনি কোথায়?
-চলে গেছে।
-মানে,কথা হয়নি?
-হুমম হয়েছে।
-তাহলে দুজন দুজন কে পছন্দ হয়নি?
-আমার তো পছন্দ হয়েছে।কিন্তু মাহিন মনে হয়,,,?
-কী বল?
-আমার এই পোশাকে বেশ খারাপ মনে করেছে।
-দেখলি তো আমার কথায় ঠিক হলো।আর দেখ পাশের সবাই কিভাবে তোর দিকে তাকাচ্ছে।আর আমার দিকে কেউ ওমন করে তাকাচ্ছে নাকি দেখ।
-হুম হুম বুঝলাম।চল এবার।
এখন বেশ নিজের কাছে খারাপ লাগছে নীলান্তির।সে নিজেই ভাবছে এমন পোশাক পড়া উচিত হয়নি,যে পোশাকে মানুষ লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, যেমন ফাতেমার দিকে কেউ তেমন করে তাকাতে পারে না।সেই সুযোগটাও ফাতেমা কাউকে দেয় না..ফাতেমা নীলান্তির চুপ থাকা দেখে বলল-
-কিরে আপু কী ভাবছিস?
-নারে কিছু না।
-আপু জানিস কী হয়েছে?
-কী?
-কফিশপে ঢোকার সময় একটা ছেলের সাথে ধাক্কা খেয়েছি।ছেলেটি অনেক্ষণ তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে।
-তোকে দেখলো কিভাবে?
-ধাক্কার খাবার ফলে মুখের উপর থেকে পর্দাটা সরে গেছিলো,তার পরেই চোখে চোখ পড়ে গেছিলো। আমি তো ভীষণ লজ্জা পেয়েছি।
-হুমম লজ্জা পাবি আরও কত কী পাবি।
ফাতেমা আর কিছু বলল না মিটিমিটি শুধু হাঁসতে লাগল।চুপচাপ দুই বোন বাসার দিকে যেতে লাগল।ফাতেমা একটা দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনতে রিক্সা থেকে নেমে গেলো,আর নীলান্তি রিক্সায় বসে আছে।দোকানে বসা ছেলেগুলো ফাতেমাকে কিছু বলল না, কিন্তু ছেলেগুলো নীলান্তিকে দেখে শিস দিতে লাগল,সাথে বাজে বাজে কথা বলতে লাগল।নীলান্তি সহ্য করতে না পেরে রিক্সা থেকে নেমে একটা ছেলের মুখে থাপ্পর দিয়ে ফাতেমাকে নিয়ে চলে গেলো।সেই ছেলেটিও হুমকি দিলো নীলান্তির ক্ষতি করার।
বাসায় যাবার পরেই নীলান্তি জানতে পারল মাহিন নীলান্তিকে পছন্দ করেনি।কথাটা শুনে নীলান্তি অনেক ছোট বনে গেলো নিজের কাছে,মনে মনে অনেক কষ্টও পেলো।
এদিকে মাহিন কফিশপে ধাক্কা খাওয়ার মেয়েটার চোখের প্রেমে পড়ে গেছে।মেয়েটির দুইটি চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারেনি মাহিন,কারণ মেয়েটা হিজাব করে ছিলো।ধাক্কা খাবার ফলেই মেয়েটার মুখের উপর থেকে হিজাবের পর্দা সরে যাবার ফলেই দুটি চোখ দেখতে পারে,সেই চোখের চাহনি যেন ভোলার নয়।
এর পরের দিনই ফাতেমা কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে সেই ছেলেটাকে দেখতে পায়।হিজাবের ভেতর থেকেই সেই ছেলেটাকে দেখলো।হঠাৎ করেই সেই ছেলেটা (মাহিন) ফাতেমার পিছু নিলো।ফাতেমা বুঝতেই পারছে না কিভাবে চিনলো তাকে।পরক্ষনে খেয়াল করলো গতকালকের সেই বোরখা আর হিজাব পড়ে এসেছে।হয়তো অনুমান করেই পিছু নিয়েছে।
ফাতেমা বাসার সামনে এসেই দ্রুত রিক্সাওয়ালাকে ভাড়া দিয়ে ভেতরে চলে গেলো।এদিকে মাহিনও বাসার দিকে তাকিয়ে হচকিয়ে গেলো।কারণ এই বাসারই বড় মেয়ের সাথে তার প্রথম বিয়ের কথা চলছিলো।কিন্তু তাদেরই যে আরেকটা মেয়ে আছে সেটা মাহিন জানতো না।
মাহিন ফাতেমার ধার্মিকতা দেখে ওর প্রেমে পড়েছে।কতই না সুন্দর করে হিজাব করে,তার ভেতরে মেয়েটার হিজাবের ভেতর থেকে বড় দুটি চোখ যেন মাহিন কে পাগল করে দিয়েছে।মাহিন সিদ্ধান্ত নেয় আবারও বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে তবে সেটা ফাতেমা কে বিয়ে করার জন্য।একটা ধার্মিক মেয়ে যেমনটা সে চায়।যে সুন্দর করে হিজাব করতে পারে,জানে ইসলামের অনেক কিছু,এমনকি সেগুলো পালন করে।
এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন নীলান্তি ওর বান্ধবীর বিয়ে থেকে রাতে বাসায় ফিরছিলো।হঠাৎ কোথা থেকে সেই ছেলেগুলো পথের মাঝে এসে রিক্সা আটকে দাঁড়ালো।
ছেলেগুলো রিক্সাওয়ালাকে হুমকি ধামকি দিয়ে নীলান্তি কে নামিয়ে গাড়ীতে নিয়ে গেলো।
চারজন মিলে নীলান্তিকে গনধর্ষন করল।আর বলল-তোর শরীর সবাই কে দেখিয়ে পাগল করিস।আজ তোর সবকিছুই শেষ করে দিলাম মুখ দেখানোর পথ নেই আর।তোর সব শেষ করে দিলাম।এর পরেই সেই ছেলেগুলো নীলান্তি কে ওর বাসার সামনে এসে ছুড়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
নীলান্তি কোন রকমে দরজার কলিংবেল বাজিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।এর পরের দিন যখন নীলান্তির জ্ঞান ফিরে তখন নীলান্তি কান্নায় ভেঙে পড়ে।পরিবারের সবাই তাকে সান্ত্বনা দিতে থাকে,আর জানতে চাই তার কী হয়েছে।নীলান্তি কান্না থামিয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছু বলেই আবার কাঁদতে করতে থাকে।
সবাই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে।আর এই বিষয়টা গোপন রাখতে বলে।
এর পর থেকে নীলান্তি চুপচাপ স্বভাবের হয়ে যায়।কারো সাথে কথা বলে না।নিজের রুম থেকে কখনো বের হয় না আর।আগের সেই নীলান্তি আর নেই।মর্ডান নীলান্তি এখন নিজেই আধুনিকতার কারণে নিজের সম্মানটুকু হারিয়ে ফেলেছে।অপরদিকে তার বোন ফাতেমা বাইরে বের হলে সবাই সম্মানের দৃষ্টিতেই তাকিয়ে থাকে।কারণ কুদৃষ্টি দিয়ে মানুষ দেখবে তাকে সেই সুযোগটা সে কাউকে দেয় না।
আজ ফাতেমার বিয়ে।হ্যাঁ মাহিনের সাথেই ফাতেমার বিয়ে।পারিবারিক ভাবেই ফাতেমা বিয়ে হচ্ছে মাহিনের সাথে।মাহিন আবারও যখন বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় ফাতেমাকে বিয়ে করার জন্য তখন ফাতেমার বাবাও আর নিষেধ করেনি।বাড়ীটাতে বিয়ের আয়োজন হলেও একটা বন্ধ অন্ধকার ঘরে এই বাড়ীরই বড় মেয়ে নীলান্তি কালো মেঘের আড়ালে চলে গেছে।যদি সে হিজাব করে চলাফেরা করত,নিজের জীবনটা কে ধার্মিকতার মধ্যে রাখতো তাহলে আজ তার এহেম পরিস্থিতির স্বীকার হতে হতো না।ফাতেমা জানতেও পারবে না কখনো এই মাহিনের সাথেই তার বড় বোনের বিয়ের কথা হয়েছিলো।
খুব ধুমধাম করেই ফাতেমার বিয়েই হয়ে যায়।ফাতেমা মাহিনের সাথে সুখের জীবন যাপন করতে থাকে।এদিকে নীলান্তিও এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি।তার জীবনটা অন্ধকারে ঢেকে যায়।কালো ছাঁয়া তার জীবনটাকে অন্ধকারে ভরিয়ে দিয়েছে।
দুই বছর পর…..
নীলান্তি এখন অনেকটা স্বাভাবিক।তবে তার মনের মধ্যে সেই রাতের ভয়টা এখনো রয়ে গেছে।আজ নীলান্তি কে একজন ছেলে দেখতে আসবে।নীলান্তি বিয়ে করতে রাজি না তবুও তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে হলে তাকে বিয়ে দিতে চায় তার বাবা-মা।
নীলান্তি কে দেখার এক পর্যায়ে ছেলের বাবা-মা সবাই তাকে পছন্দ করেছে।নিলান্তি কে তার বাবা-মা বলে দিয়েছে যাতে এসব ঘটনা কাউকে না বলে।তবুও নীলান্তি ছেলেটার সাথে একাকি কথা বলতে চায়..
-দেখুন আপনাকে দেখে যতটুকু মনে হচ্ছে আপনি খুবই ধার্মিক মানুষ।
-হ্যাঁ সেটা বলতে পারেন।
-তাহলে আপনাকে কিছু বলার প্রয়োজন আমার।
-হ্যাঁ বলুন কোন সম্যসা নেই।
-আমি দুই বছর আগে এমন ছিলাম না যেমনটা আমাকে দেখছেন।আমি খুবই উশৃঙ্খল ছিলাম।কখনোই হিজাব করতাম না,আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতাম।যার কারনে আমি ধর্ষনের স্বীকার হয়েছি।
>কথাটা বলেই নীলান্তি কেঁদে দিলো।
-এবার আমি কিছু বলি?
-কী বলবেন আমি জানি। [কাঁন্না জড়িত কণ্ঠে]
-কী বলব শুনি?
-আমাকে বিয়ে করবেন না।
-ভুল জানেন। আমি আপনাকেই বিয়ে করব।আপনি কতটা সৎ মনের মানুষ জানেন।ধর্ষনের কথাটা লুকাতে চাননি আমার কাছে।কারণ আপনি চাননি কাউকে ঠকাতে।
আর এটাই সব থেকে বেশী ভাল লাগার কারণ আমার।
–
-আপনাকে আর কিছু বলতে হবে না।আপনি এখন যেমন হিজাব করেন,বিয়ের পর আমি আরো
ভাল করে হিজাব করা শিখিয়ে দিবো।এখন যেমন ধার্মিক আছেন তখন আরো বেশী ধার্মিক বানিয়ে দিবো।
-কাঁন্নার আওয়াজ।
-কী হবেন না আমার হিজাবওয়ালী বউ?
-মাথা এদিক ওদিক করে হা সূচক জবাব।
-হুমম এবার তো একটু হাঁসুন।
-আমি কখনো ভাবতেও পারিনি আমার সবটা জেনে কেউ আমাকে ভালবাসবে।
-হুমম এই যে আমি।।
নীলান্তিও এখন বদলে গেছে সে হিজাব করলেও দেখা যায় না তার নখ পর্যন্ত।সে এখন বদলে গেছে।সে এখন একটা ধার্মিক, সৎ চরিত্রবান ছেলের বউ হয়ে গেছে।তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে তার স্বামীও তাকে সাহায্য করে।নীলান্তিও এখন হিজাবের মর্যাদা বুঝে।
কিভাবে হিজাবের মাধ্যেমে নিজের সম্মান কে ঢেকে রাখতে হয়।বাইরে বের হলেই এই হিজাবকেই নিজের কাছের মনে হয় তার,যা একটা মেয়ের অমুল্য সম্পদ।এই হিজাবই মেয়েদের সম্মানিত করে সেটা এখন সে ভালমতই বোঝে।এমনকি অন্যকেও হিজাব করতে উপদেশ দেয়।যাতে আর তার মত ক্ষতি আর কারো না হয়।
নীলান্তির অন্ধকার জীবন ঠিক এভাবেই আলোর ঝলকানি উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে।