প্রাচীনকালে নওশেরোয়া নামে একজন বিখ্যাত বাদশা ছিলেন। ন্যায় বিচার ও জনপ্রিয়তায় তাঁর সুনাম ছিল জগত জোড়া। কর্মচারীবৃন্দ ও প্রজাসাধারণ সবাইকে তিনি পরম স্নেহের চোখে দেখতেন।
তাঁর পুত্র হরমুজ কিন্তু অন্য প্রকৃতির লোক ছিলেন। তিনি ছিলেন খুব দৃঢ়চেতা ও কঠোর প্রকৃতির নরপতি। তাই যুবরাজ থাকা অবধি আমির ওমরাহগণ সবাই তাঁকে ভয়ের চোখে দেখত।
পিতার মৃত্যুর পর হরমুজ সিংহাসনে বসলেন। অল্পদিন পরে সামান্য কারণে তিনি প্রবীণ মন্রীকে পদচ্যুত ও বন্দী করলেন। বন্ধু-বান্ধবরা জানতে চাইলেন, কি কারণে বৃদ্ধ উজীরকে বন্দী করা হলো? যিনি আপনার পিতার আমল থেকে বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ উপদেষ্টা হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন। তার অপরাধ কি?
হরমুজ উত্তর দিলেনঃ তাঁর কোন অপরাধ আমার জানা নেই। তবে এটুকু ভালো করে জানা আছে যে, সে মনে মনে আমাকে অত্যন্ত ভয় করে। আমার ওপর তার নিরাপত্তার আস্থা নেই। সুতরাং আমার দ্বারা তার ক্ষতির আশঙ্খা দেখলেই সে আমার অপসারণ বা প্রাণনাশের চেষ্টার ক্রুটি করবে না। তাই জ্ঞানী লোকের পরামর্শে তাকে বন্দী করে রেখেছি।
শিক্ষাঃ অনেক ছেলে পিতার স্বভাব ও প্রকৃতি অনুযায়ী হয় না। সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমভাবে নিজেকে গড়ে তোলে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা ভবিষ্যতি চিন্তা করে চলে, জীবন চলার পথে প্রতিবন্ধকতার কাঁটা তা আগেই সরিয়ে ফেলে। ভবিষ্যত জীবন যাতে নিরাপদে কাটাতে পারে।
গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প