এক বনে এক নেকড়ে বাস করত। সে একটি মেষশাবক হত্যা করল; কিন্তু যেই সে মাংশ খেতে গেল অমনি একটি হাড় তার গলায় বিঁধে গেল। এটা তাকে তীব্র ব্যথা দিচ্ছে। সে এটা টেনে বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করল কিন্তু ব্যর্থ হলো। তারপর নেকড়ে বাঘ এক ঝরনার পাশে এক সারস দেখতে পেল। সারসটি মাছ খুঁজছিল। নেকড়ে বাঘ বলল, “সুপ্রভাত, সারস সাহেব। আপনি হয়ত মাছ খুঁজছেন। আমি আপনাকে একটা ভালো পুরষ্কার দেব যদি আপনি আমকে একটা অনুগ্রহ করেন। সারস এ পর্যন্ত কোনো মাছ পাইনি। কাজেই সে নেকড়ে কে জিঙ্গাসা করল কি অনুগ্রহ। তখন নেকড়ে বলল যে আমার গলায় একটি হাড় বিঁধেছে। আর সারস তুমি তোমার লম্বা ঠোট দিয়ে ঐ হাড়টি এনে দিতে। সারস এটা খুবই সহজ কাজ মনে করল। সারসটি প্রস্তাবে রাজি হলো। সে নেকড়েকে প্রস্তভাবে মুখ হা করতে বলল। তারপর সে তার লম্বা ঠোট দিয়ে হাড়টি বের করে দিল। নেকড় তার ব্যথা হতে মুক্তি পেল ও বেশ খুশি হল। তার পর সারস তার পুরষ্কার দাবি করল। নকড়ে বলল, “পুরষ্কার! তুমি তোমার মাথাটি আমার গলায় ঢুকিয়েছ আর আমি ওঠা টুকরো টুকরো করে পিষে দেইনি। এটা কি তোমার জন্য পুরষ্কার নয়?” ভীত হয়ে সে এক উঁচু গাছের উপর উড়ে গেল। গাছটির ডালে গিয়ে সে বলল, “তুমি একটা অকৃতঙ্গ ব্যক্তি। স্ষ্টা তোমাকে অকৃতজ্ঞার শাস্তি দেবে।
গল্পের বিষয়:
শিক্ষনীয় গল্প