শীতের ছুটিতে ঢাকা গিয়েছিলাম মামার বাসায়। শীতের আমেজটা উপভোগ করার জন্য তাই একদিন সকালেই বেরিয়ে পরলাম শহরটা ঘুরতে। কিন্তু হঠাৎ দেখলাম এক বৃদ্ধা মহিলাকে। দেখলাম সে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছে। তার কাছে আমি এগিয়ে গেলাম। তার কাছে জানতে চাইলাম কেন সে এভাবে সাহায্য চাচ্ছে।
সে আমাকে তার কস্টের কথা শোনাল। সে জানাল যে,তার husband অনেক ধনী ছিলেন। তাদের টাকা পয়সার অভাব ছিলনা। তাদের একটি ছেলে ছিল।ছেলেকে লেখাপড়া শেষ করানোর পর তারা তাদের ছেলের বিয়ে দিয়েছিল বড়লো কের মেয়ের সাথে। তারা জানত না মেয়েটা অনেক খারাপ ছিল।মেয়েটার অন্য আর একজনের সাথে রিলেশন ছিল।এদিকএ তার husband এর cancer ধরা পরে। এবং কিছুদিন পর তার husband মারা যায়।
আর তখনি তার ছেলের বউ তাকে পুরো সম্পত্তি দেয়ার জন্য জোরাজোরি শুরু করে। ছেলে এ ব্যাপারে কিচ্ছু জানত না।বৃদ্ধা দিতে রাজি না হয়ায় তাকে মারধর করা হয়। এমনকি তাকে শেষ করার হুমকি দেয় ছেলের বউ।কিন্তু তাতে কাজ না হয়ায় ছেলের বউ তার জামাই এর কাছে শাশুড়ির নামে বদনাম করে।ছেলেটা তা বিশ্বাস করতেও শুরু করে। একদিন মেয়েটা তার জামাইকে বলে যে তার(ছেলেটার)মা আরেক পুরুষএর সাথে সম্পর্ক এ জড়িয়েছে।(মিথ্যা ছিল)। সে জন্য তাদের সম্পত্তি দিতে চাচ্ছে না।
ছেলেটা তার বউকে এতটাই বিশ্বাস করতো যে শুধু মাত্র তার কথা শুনে তার নিজের মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তার কিছুদিন পর তার বউয়ের আসল চেহারা ধরা পড়ল।বউটা ছেলেটার কাছ থেকে সব সম্পত্তি নিয়ে তার প্রেমিক এর সাথে চলে গেল। ছেলেটা তখনি ভুল বুঝতে পারল।এবং মায়ের কাছে ফিরে এল এবং ক্ষমা চাইল।কিন্তু ততক্ষণএ তারা সহায় সম্বলহীন হয়ে গিয়েছে।আর এর মধ্যে ছেলেটার কঠিন অসুখ ধরা পরল।ছেলেটাকে বাঁচাতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই তার বৃদ্ধ মা তার সেই ছেলেকে বাঁচাতে এখন মানুষ এর কাছে হাত পাতছেন।(সত্য ঘটনা)