Sorry রং নাম্বার

Sorry রং নাম্বার

* ছেলেটির নাম মুন্না, সে পেশায় একজন ছাত্র।
একদিন,
মুন্না তার বন্ধুকে মোবাইলে কল দিলো,
ক্রমান্বয়ে, নাম্বারটি ভুল থাকায় রং নাম্বারে কলটি চলে গেলো,
কয়েক সেকেন্ড পর মোবাইল রিসিব হল ঠিকই, কিন্তু,
কেউ কথা না বলে কল কেটে দিলো।
মুন্না আবার চেষ্টা করলো কিন্তু কেউ কল রিসিব করলো না
তারপর,
নানা ব্যস্ততার মাঝে সারাদিন কেটে গেলো মুন্নার।
সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ পর,
সেই নাম্বার থেকে একটা মিসকল আসলো মুন্নার মোবাইলে।
মুন্না সেই নাম্বারে পূনরায় কল দিলো,
পরোক্ষনে কল রিসিব হল
মুন্না  শুনতে পেলো একটি মেয়ের কণ্ঠ,
মেয়েটি:- হ্যালো কে আপনি ?
উত্তরে মুন্না :- আপনি কে?
মেয়ে:- বাহ আমার মোবাইলে কল দিয়ে আবার আমাকেই জিজ্ঞেস করছেন আমি কে?
মুন্না :- না মানে আমি দুপুরে আমার খুব কাছের এক বন্ধুর নাম্বারে কল দিয়েছিলাম,
এখন বলেন আপনি কে?
মেয়ে:- আপনার বন্ধুর নাম কি?
মুন্না :- সাদমান
মেয়ে :- সাদমান নামের কাউকে আমি চিনিনা?
মুন্না :- আচ্ছা আপনার জেলা কোথায়?
মেয়ে:-  কিশোরগঞ্জ।
মেয়ে:- জ্বী, আপনার জেলা কোথায় ?
মুন্না:- জ্বী আমার জেলা বগুড়া।
তখন মেয়েটি বললো বুঝতেই পারছেন,
কোথায় কিশোরগঞ্জ, আর কোথায় বগুড়া
sorry  রং নাম্বার
এই বলে মেয়েটি কল কেটে দিলো।

পরেরদিন মুন্না ইচ্ছে করেই সেই মেয়েটির নাম্বারে কল দিলো
রিং হচ্ছে…
মেয়েটি কল রিসিব করলো
বললো হ্যালো কে?
ছেলে:-  আমি মুন্না
মেয়ে:-  কোন মুন্না?
ছেলে:-  গত কালকের রং নাম্বারের মুন্না,
মেয়ে:- কি চান আপনি?
আমি ত বললাম এটা রং নাম্বার।
মুন্না বললো আচ্ছা ম্যাডাম কল  ত রেখেই দিবো,
তার আগে বলেন আপনার নামটি কি ?
মেয়ে:- আজব,
আমার নাম দিয়ে আপনি কি করবেন.?
মুন্না:- দরকার আছে plz বলেন ?
মেয়েটি মুন্নার অনেক জোড়াজোড়ি করার এক পর্যায়ে নাম বলতে বাধ্য হল
মেয়ে:- জ্বী, আমার নাম ময়না।
মুন্না:- বাহ্ আপনার নামটি খুব সুন্দর, মিষ্টি একটা নাম
ময়না:- ধন্যবাদ।
মুন্না :- আচ্ছা ময়না পাখি
আপনি কোন ক্লাসে লেখাপড়া করেন ?
ময়না:- জ্বী, আমি ক্লাস টেন এ পড়ি।
আর আপনি কি করেন ?
মুন্না:- জ্বী, আমি কলেজে পড়ি।
কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে মুন্না  আর ময়না অনেকটা পরিচিত হয়ে গেলো,
আর তাদের ফোন আলাপ এভাবেই চলতে থাকলো দিনের পর দিন।

একদিন,
ময়না তার স্কুলের বান্ধবী অনন্যার সাথে
মুন্নার মোবাইলে আলাপ করিয়ে দিলো
অনন্যার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে মুন্না অনন্যাকে রিকোয়েস্ট করলো,
ময়নার সাথে যেনো তার প্রেমটা করিয়ে দেয়।
মুন্না এমন ভাবে বললো, অনন্যা আর, না করতে পারলো না,
তখন অনন্যা মুন্নাকে বললো আপনি কি
ময়নাকে আপনার ভালবাসার কথা বলেছেন ?
মুন্না:- না মানে বলবো বলবো করে আজও বলা হয়নি।
অনন্যা :-  আচ্ছা টিফিনের সময় প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে,
আমি ময়নার সাথে কথা বলবো আপনি সময় করে ময়নাকে শুধু ভালবাসার কথাটা বলে দিয়েন।
কেমন?
মুন্না:- জ্বী, বলবো,
এই বলে অনন্যা মোবাইল কেটে  ময়নাকে ডেকে বললো, এই নে তর ফোন
তারপর দুজনে ক্লাসরুমে চলে গেলো ক্লাস করার জন্য,
আর অপরদিকে মুন্না ত আবেগে দিশাহারা।
চলতে, ফিরতে, ঘুমানোর সময়ও শুধু ময়নাকে নিয়ে ভাবছে।
পরেরদিন স্কুলে অনন্যা ময়নাকে জিজ্ঞেস করলো
আচ্ছা,
তুই কি মুন্না কে ভালবাসিস?
ময়না:-  না, ত
অনন্যা :- তাহলে ?
ময়না :-তাহলে আবার কি
আমরা শুধু বেষ্ট ফ্রেন্ডস, মোবাইলে মাঝে মাঝে কথা বলি এটুকুই,
ময়না :- আচ্ছা, অনন্যা তুই হঠাৎ এই কথা জিজ্ঞেস করলি কেনো ?
অনন্যা:- তুই আমার বান্ধবী জিজ্ঞেস ত করতেই পারি
তাই না,
ময়না:- তা জিজ্ঞেস করতেই পারোস।
অনন্যা:- তাছাড়া, তুই আমাকে মুন্নার সাথে সেদিন মোবাইলে আলাপ করিয়ে দিলি,
তাই জিজ্ঞেস করলাম।
স্কুল ছুটির পর পড়ন্ত বিকেলে মুন্না মাঠের কোণে বসে আছে,
তখন, মুন্না ময়নাকে কল দিলো,
রিং হচ্ছে …
ময়না কল রিসিব করলো।
ময়না:- হ্যালো
তখন মুন্না বললো, হ্যালো
কেমন আছো তুমি ?
ময়না :- ভালো আছি, তুমি কেমন আছো ?
মুন্না:-ভালো না,
ময়না:- কেনো?
মুন্না:- কেনো আবার তোমার জন্য,
ময়না:- আমি আবার কি করলাম ?
মুন্না:- কি আর করেছো, আমার মন চুরি করেছো,
ময়না:-  মানে?
মুন্না:- মানে খুব সহজ, এই ধরু এ যাবত কয়েকদিন ধরে,
আমি তোমার জন্য ভালো করে খেতে পারছিনা,  ঘুমাতে পারছিনা, কোন কাজ করতে পারছিনা !
সবকিছুতে শুধু তুমি চলে আসো।
তখন কিছু ভালো লাগেনা আমার
শুধু তোমাকে কাছে পেতে ইচ্ছে করে ।
মুন্না বললো ময়না আমি তোমাকে ভালবাসি
I love you.
ময়না:- তা সম্ভব না,
মুন্না:- কেনো ?
ময়না:- আমি তোমাকে ভালো করে চিনিনা, তোমাকে ভালো করে জানিনা,
শুধু কথা বললেই কি মন দেওয়া যায় ?
শুধু কথা বললেই কি ভালবাসা যায় ?
মুন্না:- আমি কি করবো এখন
তুমি বলে দাও,
জানিনা,
এই বলে ময়না মোবাইল রেখে দিলো।
আর মুন্না কিছুই বুঝতে পারছে না,
এখন তার কি করনীয় আছে।
যদি ময়না থাকে ভুলে যেতে বলে, তখন সে কি করবে,
মরে যাওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।
মুন্নার মন বিষন্ন, যেনো,তার মনের আকাশে  এইমাত্র একখণ্ড অভিমানের মেঘ জমাট বাঁধলো,
আর মুহুর্থে  দুটিচোখে ঝাপসা হয়ে গেলো !
পরেরদিন স্কুলে অনন্যার জন্য অপেক্ষা করছে ময়না।
ময়না একটু আগেভাগেই স্কুলে চলে এসেছে আজ
এখনও অনন্যা স্কুলে আসেনি,
তারপর বহু প্রতিক্ষার পর ৯.৩০ মিনিটে অনন্যা স্কুলে হাজির হলো,
তারপর,
ময়না সবকিছু খুলে বললো অনন্যাকে,
ময়না বললো, অনন্যা এখন কি করতে পারি আমি?
অনন্যা:- মুন্না যখন তোকে আবার ফোন করবে তখন তাকে I love you বলে দিবি,
তবেই সব সমস্যা শেষ হয়ে যাবে।
ময়না বললো, কিন্তু ?
অনন্যা বললো,কিন্তু কি ?
ময়না বললো,যদি ধোঁকা দেয় আমাকে,
এবার অনন্যা বললো আগে ত প্রেম করেই দেখ
তারপর এমনও হতে পারে,তখন তুই আমাদের ও ভুলে যাবি।
অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে ময়না সিদ্বান্ত নিলো সে মুন্নার সাথে রিলেশনে যাবে,
কিন্তু,
সে আগে কিছুই বলবে না মুন্নাকে
মুন্না যদি আবার থাকে ভালবাসার কথা বলে তাহলে হ্যা বলে দিবে,
না হলে নিজে মুখ ফোটে বলবে না,
এটাই চুরান্ত করে রাখলো ময়না।
এদিকে রমজান মাস চলে আসায় স্কুল ছুটির ঘোষনা হল
প্রায় একমাস বন্ধ হয়ে গেলো স্কুল,
স্কুল ছুটির পর ময়না বাড়ি ফিরে গেলো,
আর ঠিক সন্ধ্যা হওয়ার পর
মুন্না আবার কল দিলো ময়না কে
কল রিসিব করলো ময়না,
মুন্না:- হ্যালো কেমন আছো ?
ময়না:- ভালো, তুমি কেমন আছো .?
মুন্না:-ভালো নেই ?
ময়না:- কেনো ?
মুন্না:- কারনটা তুমি ভালো করে জানো,
আচ্ছা, তুমি কি সিদ্ধান্ত নিলা,
ময়না:-জানি না,
মুন্না:- এমন ভাবে না বলে তুমি আমাকে তোমার হাতে খুন করে পেলো,
তবু আমি বেঁচে যাই ?
ময়না:- খবরদার আর কখনো এমন কথা বলবা না,
মুন্না:- একশো বার বলবো হাজার বার বলবো,
ময়না:- না তুমি বলবে না,
মুন্না:- আমি তোমার কে হই ?
ময়না :- বলবো না, লজ্জা করে
মুন্না:- তাহলে, তুমি কি আমাকে ভালবাসো ?
ময়না:- ভালবাসি, ilove you.
পাগল একটা
মুন্না:- I love you 2 পাগলি আমার।
বলো কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না,
ময়না:- যাবো না।
মুন্না তাহলে promise করো
ময়না:-  promise করলাম কখনো ছেড়ে যাবো না।
আস্তে আস্তে মুন্না আর ময়নার ভালবাসা
গভীর হতে গভীরতায় চলে গেলো,
এক মাস রোজার ছুটির ভেতরে তারা ফোনে একে অন্যের অনেকটা কাছাকাছি  চলে গেলো,
এদিকে ঈদের ছুটির পর স্কুল পূনরায় খোলা হল।
আর, এবার মুন্না সিদ্বান্ত নিলো সে ময়নার এলাকায় ময়নার সাথে দেখা করতে কিশোরগঞ্জ আসবে।
হঠাৎ একদিন
google maps দেখে দেখে মুন্না ময়নার স্কুলের কাছে হাজির হয়ে গেলো সেই বগুড়া থেকে।
তারপর মুন্না স্কুলের কাছে পুকুরঘাটে অপেক্ষা করতে লাগলো স্কুল টিফিনের অপেক্ষায়,
আর কিছুক্ষণ পর স্কুলের টিফিনের ঘণ্টা পড়লো,
তখন সে ময়না কে কল দিলো
আর ময়না কল রিসিব করতেই, মুন্না বললো,
তুমি কোথায় এখন ?
ময়না :- আমি ত এখন স্কুলে
মুন্না:- তাহলে স্কুলের বাহিরে পুকুরঘাটে  আসো,
ময়না:- কেনো?
মুন্না:- এসেই দেখো,
surprise আছে তোমার জন্য।
তারপর ময়না অনন্যা কে সাথে নিয়ে পুকুরঘাটে এলো,
এসেই ফোন দিলো কোথায় তোমার surprise
মুন্না পুকুরঘাট থেকে ময়নার সামনে গিয়ে বললো এই তোমার surprise.
ময়না অবাক হয়ে গেলো,
আর বললো তুমি এখানে কেমন করে এলে ?
মুন্না বললো surprise কেমন হলো আগে সেটা বলো,
ময়না বললো আমি এখনও বিশ্বাস করতে পরছি না আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
মুন্না বললো এটাই সত্যি,
এখন আমি আর তুমি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি।
তারপর মুন্না ময়নার সাথের মেয়েটা কে বললো তোমার নাম অনন্যা তাইতো।
অনন্যা বললো হুম,
আপনি কে?
তখন মুন্না বললো আমার সাথে তোমার কথা হয়েছিল মোবাইল ফোনে,
আর তোমার সাথে আমার আলাপ করিয়ে দিয়েছিলো ময়না।
এখন আমাকে চিনতে পেরেছো ?
অনন্যা সে তো রিতীমত অবাক আপনি কিশোরগঞ্জে চলে এলেন ?
মুন্না:- হুম চলে এলাম,
শুধু ময়নার ভালবাসার টানে।
তারপর অনেকক্ষণ কথা বলার পর মুন্না বিদায় নিয়ে আবার বগুড়া উদ্দ্যেশে রওনা হয়ে গেলো,
আর এদিকে স্কুল ছুটির পর ময়না তার বাড়ি ফিরে গেলো।
আর সন্ধ্যার পর পর
ময়না মুন্নাকে ফোন দিলো
মুন্না রিসিব করতেই
ময়না জিজ্ঞেস করলো  তুমি এখন কোথায়  আছো ?
মুন্না:- আমি এখন ঢাকায় আছি ,
ময়না:- তুমি ঢাকাতে কি করো,
তোমার ত এখন বগুড়ার দিকে যাওয়ার কথা ?
মুন্না:- ঢাকায় আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলো,
তাই ভাবলাম আজ তার সাথে থেকে কাল বগুড়া চলে যাবো,
এখন আমি বন্ধুর বাসায় আছি।
অনেকক্ষণ কথার বলার পর দু’জনে ফোন রেখে দিলো,
তার পরেরদিন মুন্না ময়না কে ফোন দিলো,
আর তখন তার মোবাইল সুইচ অফ দেখতে পেলো,
সেদিন থেকে ময়নার সাথে মুন্নার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলো।
মুন্না ময়নার সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টায় পরও যখন ব্যর্থ
তার একমাস পর
তখন সে অনন্যার কাছে ফোন দিলো,
রিং হচ্ছে…
এদিকে মুন্নার চোখে আর মুখে উৎকণ্ঠার চাপ
এবার অনন্যা কল রিসিব করলো,
হ্যালো কে ?
মুন্না বললো আমি মুন্না,
অনন্যা বললো কোন মুন্না ?
মুন্না:- ময়নার কি খবর ?
তখন অনন্যার চিনতে আর বাকি রইলো না।
তখন অনন্যা বললো কেনো আপনার সাথে ময়নার কথা হয়নি ?
মুন্না:- আজ এক মাস ধরে ময়নার ফোন সুইচ অফ দেখাচ্ছে, কিছু বুঝতে পারছি না !
অনন্যা:- আগে আপনি শান্ত হন, আর নিজেকে শক্ত করুন।
তখন মুন্না বললো কি হয়েছে ময়নার ?
অনন্যা কিছু বলছো না কেনো ?
অনেকক্ষণ পর অনন্যা বললো আপনার ময়না আর আপনার নেই,
মুন্না:- নেই মানে ?
অনন্যা:- ময়না মা বাবা ময়নাকে জোড় করে বিদেশি ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিছে,
আর, এখন সে স্বামীর বাড়িতে আছে।
এই কথা শুনে
মুন্না চিৎকার দিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলো
আর অনন্যা থাকে বুঝাতে চেষ্টা চালাচ্ছে,
কিন্তু,
বাস্তবতা হল এমন,যে প্রথম প্রেম সহজেই কারো জীবনে আসে না,
আর যদিও আসে তা হয়তো কারো কপালে সহে না
আর প্রথম প্রেমের স্মৃতিগুলো কি কখনো ভুলা যায়..?
যায় না,
তাই মুন্নার হৃদয়ে বারবার আঁচর কেটে যায়
ময়নার সেই প্রেম।
আজকাল  স্তব্ধ নিঁশিতে মুন্নার মনে হয়,সে যেনো এক জিবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছে।
তারপর অনন্যার থাকে সান্তনা দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে মুন্নাকে ফোন দিতো,
আর তারা দু’জন কথা বলতে বলতে এক সময় অনন্যা মুন্নার প্রতি দুর্বল হয়ে যায়,
এক পর্যায়ে মুন্না আর অনন্যা প্রেমে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়
তখন মাটির নিচে ছাপা পড়লো ময়না ও মুন্নার প্রথম প্রেম!

আর অন্যদিকে রিতীমত ফোনে কথা চলছে মুন্না ও অনন্যার।
অনন্যা একদিন অনন্যার চাচাতো বোন মুন্নির সাথে মুন্নার প্রেমের কথা শেয়ার করলো,
মুন্নি ও ছিলো সিঙ্গেল,
অনন্যা ও মুন্নার প্রেম কাহিনি শুনে মুন্নী আবেগী হতে লাগলো
তারপর একদিন ফোনে মুন্নীর সাথে মুন্নার পরিচয় করিয়ে দিলো অনন্যা।
সেই থেকে মাঝে মাঝে মুন্নীর সাথে কথা হত মুুন্নার
তাও অনন্যার বিষয়ে,
এভাবেই চলছিল অনন্যা ও মুন্নার প্রেম।
এদিকে অনন্যার মা বাবা অনন্যার বিয়ে দেওয়ার জন্য
ব্যাকুল হয়ে গেলো,
অনন্যার বিয়ের জন্য ভালো ভালো পাত্র আসতে লাগলো,
অনন্যাদের বাড়িতে
হঠাৎ একদিন,
মুন্নীর কাছে শুনতে পেলো মুন্না
সামনে শুক্রবার দিন
অনন্যার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই সংবাদ পেয়ে মুন্না বিচলিত হয়ে পড়লো,
কি করবে, ভেবে ভেবে ও
মুন্নার মাথায় কিছুই কাজ করছে না,
তারপর সে সিদ্ধান্ত নিলো
আবার কিশোরগঞ্জে যাবে সে
যেই কথা সেই কাজ
মুন্না অনন্যার বাড়িতে এসে হাজির।
এবং গলাকাটা মুরগির মত লাফাচ্ছে কেঁদে কেঁদে,
মুন্নার এই কর্মকাণ্ড দেখে
আশপাশের অনেকের চোখে পানি চলে এলো,
তারপর মুুন্নাকে অনন্যার মা বাবা বুঝাতে লাগলো,
দেখো বাবা ঘন্টা খানেক পর
অনন্যার বিয়ে, হয়তো বরযাত্রী রাস্তায় আছে,
তুমি কি চাও অনন্যার বিয়ে না হউক
তুমি কি চাও আমাদের মান সম্মান ধুলোয় মিশে যাক
যদি তুমি সত্যি সত্যি অনন্যাকে ভালবাসো তাহলে অনন্যার সুখের জন্য অনন্যাকে ভুলে যাও বাবা।
আবেগে তো আর সব কিছু চলেনা,
তাই বাস্তবতার কাছে আবারও হেরে গেলো মুন্না।
হয়তো নিয়তির কাছে এগুলো তারা পাওনা ছিলো
অবশেষে মুন্না অনন্যার বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো,
আর অন্যদিকে অনন্যাকে ও বিয়ে অনন্যার বর নিয়ে গেলো তাদের বাড়িতে।

গল্পের বিষয়:
অন্যান্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত