বিয়ের পর-ই আমার স্বামী আমার এবং তার জন্য একটা করে লাইফ ইন্সুইরেন্স করে রেখেছিল।
গরীব ঘরে জন্ম নিয়েছিলাম। তাই ছোটবেলার অনেক ইচ্ছা পূরণ হয় নি। সুন্দরী হওয়ার সুবাদে ১৭ বছর বয়সে শহরের ধনী এক পরিবারে বিয়ে হয়।স্বামী ব্যাবসা করতেন। তাই বিয়ের এক মাসের মধ্যে ঢাকায় চলে আসি।
ছোটবেলার অপূর্ণ ইচ্ছে গুলো মনে গেঁথে গিয়েছিল। সেই অপূর্ণ ইচ্ছা এখন লোভে পরিণত হয়েছে।স্বামীর কাছে টাকা চাইলে সে হাজার দশেক দিত।প্রথমে হাজার টাকা দিয়ে চললেও দিনদিন আমার লোভ বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরপর কয়েকদিন তার কাছে এক লক্ষ টাকা চাইলাম কিন্তু সে দিতে পরবে না বলল। একদিন সে অফিসে যাওয়ার আগে তার কাছে টাকা চেয়েছিলাম। সে রেগে আমাকে থাপ্পড় মেরেছিল। তাই আমিও রেগে যাই।এবং তার খাবারে অতিরিক্ত নেশার ঔষধ মিশিয়ে দেই। সে ঐ খাবার খেয়ে গাড়ি নিয়ে অফিসে চলে যায়। তার চলে যাওয়ার ঘন্টা দুয়েক পর খবর আসল সে দূর্ঘটনায় মারা গিয়েছে।
তার এই আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে খুব ভেঙে পরেছিলাম।আমি তার এভাবে মৃত্যু চাইনি। আমি শুধু চেয়েছিলাম অতিরিক্ত নেশা করে গাড়ি চালানোর অপরাধে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক।তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারি নি।মনের মধ্যে শুধু পাপবোধ লাগত।
সবকিছু ঠিক হয়ে গেল তখন যখন তার মৃত্যুর ২য় সপ্তাহের মাথায় তার মৃত্যুর ইনসুরেন্সের দশ লক্ষ টাকা হাতে পেলাম।আমি চিন্তা করিনি ইন্সুইরেন্সের জন্য এত টাকা পাব।আমার মনের লোভ আবার জেগে উঠল।আমি পরের মাসে আমার দুই বছরের মেয়ের মৃত্যুর ইন্সুইরেন্স করে আনলাম।আজকে তাকে গোসল করানোর সময় মটরের কলের প্যাঁচ খুলে বাথটাবে বসিয়ে রেখে এসেছি।