এই তো ক’বছর আগে মাতাল এক ঘন বর্ষায় আসন্ন সন্ধ্যায়
তুমি! আমার পুরুষ প্রেমিক ভূঁয়ে নতজানু হয়ে নুয়ে বার-বার
চরণ চুম্বন, সারা শরীর লেহন করেও আশ মেটেনি তোমার
বন্য শুয়োরের দাঁতাল আঘাতে নারীকে রক্তাক্ত করে,
ঘর্ম কলেবরে দারুণ তৃপ্তি ! শরীর দখলের দানবীয় উল্লাসে হাসছিলে।
বিবাহের প্রতিশ্রুতি, মন ভোলানো কথায় কাব্যের কী নিপুণ যাদুকরের
যাদুকরী ; বাহিরে বসন্তে উতল হাওয়ায় সুগন্ধি ফুলের সুবাস, সেতারে
সাতটি তারে ঝংকারে সুখের আবেশে তোমার মাদল স্পর্শে আমার
মানবিক সত্তা, স্বাভিমান বেবাক ভুলে বেহাগের সুরে বাজছি আমি।
এসো কাছে এসো, আমার পুরুষ প্রেমিক ! ওহ ! আমি আজ ঘৃণিত,
অচ্ছুত সংসারে করুনা, আর্বজনা, সমাজে শুধু বিদ্রুপ।
গত দু’বছর হাসপাতাল, থানা পুলিশ কোর্ট কাচারী, উকিলের অশ্লীল
উচ্চারণ, সাংবাদিকের দংশিত প্রশ্নবানে ক্ষত বিক্ষত নিয়ত রক্ত ক্ষরণ,
সেদিন বার বার আকুল দৃস্টি, কাঁধে রেখে মাথা একটু কাঁদা, সান্তনা, মমত্বে
আকাক্ষায় বারে বারে ছুটে গেছি; দেখা না করে ফিরিয়েছো আমায়; সে রাতে ঘাটে
একা আমায় ঐ ওদের হিংস্র কামনার আগুনে ফেলে কুকুরের মতন লেজ
নেড়ে আত্মগোপনে রইলে, সবাইর শত শত প্রয়াস ব্যার্থ ! সুমনা একবারও
নাম তোমার প্রকাশ্যে নেই, এই টুকুই আমাদের নারী – মাতৃত্বের অহংকার।