সোহেল একজন ভাল ছাত্র। ডাক্তারি পড়া। কত কষ্ট করেই না এই পড়ালেখার সুযোগ পায়। দেশে যে বালের ভর্তি যুধ্য হয় সেটাতে সে পাশ করা।
প্রথম সেমিস্টার ।পড়ালেখায় খাপ খায়াওতে তার অনেক কষ্ট হচ্ছে। । প্রচুর পরিশ্রম। এভাবে কিছু দিন যায়। ওর মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল।
ভার্সিটি জীবনের প্রথম পরীক্ষা। পরীক্ষার দু দিন আগে সোহেল খূব একটিভ হয়ে গেলো।রাত আটটার সময় সে পোড়তে বসল। পনেরো মিনিট পড় সে ঘূমে অস্থির হয়ে ঊঠল। সে খূভ চিন্তিত হয়ে ঊঠল। সে এক বন্ধূকে ফোন দিলো।
দোস্ত আমি খূভ বিপদে আছি।
কী বিপদ ?
শালা ঘূম পাচ্ছে খূভ। পড়তে পাচ্ছি না।
-পরীক্ষা কবে?
-কালকের পোরের দিন
শরীফ খানিকটা গম্ভীর ভাবে বলল
-আরে এটা আগে বলবি না?
-কেন ঘূম তাড়ানোর জন্য বিশেষ কীছূ আছে নাকি?
– এক কাজ কর কালকে সকালে দেখা করিস।
-আছছা।
সকাল নয়টায় সোহেল শরীফের সাথে দেখা করতে গেল।
-দোস্ত আইছচ তাহলে।
-হো ভাই।
-তো কেমন আছিস ?
-ভাল নাইরে দোস্ত।, পড়ালেখা করতে গেলে ঘুম পায়।
-আরে এটার সমাধান কোনো ব্যপার।হাত দে।
লাল একটা বড়ি সোহেলের হাতে চলে আসলো।সে উৎসক মন নিয়ে বলল
-কী বলিস দোস্ত এটা ঘুম দূর করে দিবে?
এটার নাম কী?
-ইয়াবা
-কী ভাবে খেতে হবে?
শরীফ বুঝিয়ে দিলো কীভাবে ইয়াবা সেবন করতে হয়।
সোহেল সাতটায় নিজ রুমে আসল। রুমের দরজাটা বন্ধ করে দিল। শরীফের কোথা অনু্যায় ইয়াবা সেবন করল। তারপর পড়তে বসল।
রাত ২টা সোহেলের পড়া শেষ হয়ে গেল। ওর মনে খুভ ফুর্তি লাগা শুরু হয়ে গেলো। ও এত কম সময়ে এত বেশী পড়া মাথায় ঢুকাতে পারে নাই আগে কখনও। আনন্দে সে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে নাচতে শুরু করল। এক ঘোণ্টা ধরে সে নাচল। তারপর কী হোলো তা আর মনে নাই তার।
সকালে ১১টা। সোহেল ফ্লোরে শুয়ে আছে। আছতে করে ঊঠে বসল সে। চশমা ছাড়া ঘড়ীর দিকে তাকাল। পীলে চমকে ঊঠলো ওর।চশমাটা চক্ষে দিয়ে তাকিয়ে দেখল যে সত্যি ১১ বাজে।পরীক্ষার সময় পার হয়ে গেছে।
আচমকা সোহেল অস্বাভাবিক একটা হাসি দিল। আবার বন্ধূকে কল দিল।