অবাধ্য প্রেম
আতিকুল ইসলাম
জেলখানার সেলে বসে আছে রাজিব। এখানে পস্রাব করার কোন জায়গা নাই। তাই সেলের ভিতরেই পস্রাব করতে হচ্ছে। পস্রাবের গন্ধে তার বমি আসার উপক্রম। বসে বসে সে চিন্তা করছে তার অবাধ্য প্রেম ও তার পরিণতি।
রাজিব তখন ক্লাস ফোরে। তার বাবা আগেই গেছে এখন মাও চলে গেল। ও একদম এতিম হয়ে গেল। মা- বাবা ছাড়া যে পৃথিবীটা কত অন্ধকার তা শুধু যারা এতিম হয় তারাই জানে। ওর অবশ্য বড় ভাই আছে। বয়সে তাদের অনেক তফাৎ আছে। বড় ভাই অয়েল ফুডে একটা চাকরি করে। বড় ভাই এর একটা মেয়েও আছে। মেয়েটা রাজিব এর সমান বয়স্ক। বড় ভাই তার দায়িত্য নিল।
রাজিবের প্রথম কটা দিন ভালই কাটল। সে তার ভাস্তি অর্থাৎ ভাই এর মেয়ে যার নাম টুম্পা তার সাথে সময় কাটাতে লাগল। কয়েক দিনে ওরা প্রাণের বন্ধু হয়ে গেল।
তবে কিছু দিন পর তার সময় খারাপ হতে লাগল। ভাবি তাকে খুব মানসিক অত্যাচার করা শুরু করল। যেমন ভাত খাওয়ার সময় বলে, নিজেরাই ভাত পাই না আবার উটক ঝামেলা জুটিয়েছে।
এভাবে কিছু দিন গেল। কিছু বসন্ত আসলো গেল। রাজিব এখন ক্লাস সিক্স এ। ভাবির অত্যাচারে আর থাকা যায় না। তাই সে পড়ালেখার পাশাপাশি টিউসনি শুরু করে দিল। কোন মতে একটা ম্যছে থাকা শুরু করল। ওর প্রান প্রিয় বন্ধু টুম্পার সাথে তার মাঝে মাঝেই কথা হয়।
এভাবে ও কলেজে উঠলো। টুম্পাও কলেজে উঠল। একদিন টুম্পার সাথে সে দেখা করতে গেল। সেদিন টুম্পাকে অনেক নার্ভাস দেখাচ্ছিল। সে হঠাৎ বলে উঠল কাকু আমার বিয়ের কথা বার্তা হচ্ছে। রাজিব বলল এটাত ভাল খবর।এরপর যেটা ঘটল সেটা ব্জ্রপাতিক। টুম্পা রাজিবকে জড়িয়ে ধরে চুমা খেল। আর বলল কিন্তু আমি আপনাকে ভালবাসি। রাজিবের মাথায় বাজ পরল। রাজিব বলে উঠল কিন্তু আমি তো তোমার কাকু। “আমি কিছু বুঝি না।আমি শুধু জানি আমি আপনাকে ভালবাসি” – টুম্পার বক্তব্য। রাজিব প্রচণ্ড স্নেহ ও ভালবাসা অনুভব করল। কিছুতেই সে না বলতে পারছে না।
এরপর ওরা একটা অমানবিক কাজ করল। ওরা পালিয়ে গেল কিন্তু ধরা খেল। ওর বড় ভাই এর চোখে প্রচণ্ড ঘৃণা। রাজিব কে কোকেন ব্যবসাহি বলে জেলে দেওয়া হল।
এই অবাধ্য প্রেমের গল্প হয়ত আরও অনেক দূর যেত কিন্তু এটা একটা অনু গল্প।