মৃত স্বপ্ন
আতিকুল ইসলাম
আমি শেষ পর্যন্ত চিন্তায় পরে গেলাম। কিছতেই বুঝতে পারছি না। কি হচ্ছে এসব। কিন্তু আমার কষ্ট হচ্ছে খুভ। এ ধরনের কষ্টের সাথে আমার আগে পরিচয় ঘটে নাই।
আমার মাথায় শুধু একটা বানী ঘুরে বেড়ায়। বানী বলাটা কি হবে?
বানী হোক আর যাই হোক সেটা আমি পেয়েছি সপ্নে। কে যেন বলছে-“ আমি তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। তোমরা জোড়ায় জোড়ায় থাক আর পৃথিবীকে সুন্দর কর।“ সপ্নে যে কথা গুলো বলছিল তার চেহারা আমি দেখি নাই। তবে তার কণ্ঠ ছিল খুভ গম্ভির, অথচ মিষ্টি, কেমন যেন কঠোর অথচ শুনতে ভাল লাগে।সপ্নে আর দেখলাম একটা ফুটফুটে মেয়ে যে কিনা লাল পোশাক পরে ফুলের বাগানে হাঁটছে।
এ স্বপ্ন দেখার পর থেকে সকাল বিকাল আমার তিব্র যন্ত্রণা হয়। এ কষ্টের সাথে বর্ষার সন্ধার কষ্টের মিল রয়েছে। বৃষ্টি ভেজা লালচে সন্ধ্যা দেখতে ভাল লাগে কিন্তু অজানা এক কষ্ট অনুভুভ হয়।। এটাও সে রকম কষ্ট। আমি কষ্ট নিবারণের জন্য চেষ্টা করি।
আমার তেমন বন্ধু নাই যে তাদের কথাটা বলি। তবে হাঁ একটা মেয়ে বন্ধু আছে। নাম সুলতানা।আমরা ছেলেবেলার বন্ধু। দেখতে শ্যমলা তবে তা কোন নতুন যুবকের ঘুম হারাম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। চোখ গুলো কাজল দিয়ে এমন করে রাখে যেন হাল্কা ভাবে একটা চুমু দেই।
আমি ওর সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করলাম। আমি সব কথা খুলে বলি তাকে। ও হেসে উঠল। বলল- “এই কষ্ট দূর করতে চাইলে একটা বিয়া কর।“
ওর কথা আমাকে বিচলিত করল। আমি বিয়ের কথা এখনই ভাবাতে চাই না। কেবল স্কুলে চাকরিটা পেয়েছি।হাতে কিছু টাকা আসুক। তাছাড়া আমার কোউ নাই যে বিয়ের পস্তাব নিয়ে যাবে। মা-বাবা অনেক আগে চলে গেছে।এসব ভাবতে ভাবতে আমার মাথায় একটা অঙ্কের হিসাব মিলে যায়। আচ্ছা সুলতানাকে বিয়ে করলে কেমন হয়।
আমি ঘটক পাঠাই। ওদের পরিবার রাজি। দিন ঠিক হল। সুলতানাও খুভ খুশি। বর যাত্রী বলতে আমার স্কুলের কলিগ। সে যাই হোক কষ্ট কিন্তু এখনও কমে নাই।
একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘোটে গেল। বিয়ের দিন সুলতনা পালিয়েছে। সপ্নের আদেশ আর পালন করা হল না। আমার কষ্টের কোন সমাধন খুঁজে পেলাম না। মাঝে মাঝে স্বপ্নটা দেখি আর কষ্ট পাই, থাক স্বপ্ন তো স্বপ্নই এটা না হয় মৃত স্বপ্ন।