কৃতজ্ঞ না হলেও তার ফল পেতে কে-বা না চায়? কমবেশ সবাই উপকারের একটু হলেও সম্মান চায়। কমে মিনিট দশেক হলেও সন্তুষ্ট। লোক সমুক্ষে না বললেও মনে মনে তো সবাই বলে, ” মনে নেই, একটু আগেই তো তাকে আমি ট্রিট দিয়েছি। কী করল সে? তারতো উচিত ছিল আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। হলো না কেন?
এমন আক্ষেপে পোড়ার অভিজ্ঞতা প্রায়ই সকলের আছে। কিন্তু আক্ষেপকারীরা কী অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ? তা সকলের ভাবতে হয়
জীবজগতের সকল জীব অক্সিজেন নেয়। হয়ত এটা সবার জানা, অক্সিজেনের অভাব, নিশ্চিত মরণ। তাইতো টাকা-কড়ি যাই খরচ হোক, বাঁচার তাগিদে বন্ধ, নির্জন, নিরলা, মুখ বন্ধ, মাস্ক পরেও থাকতে প্রস্তুত সকলে। ভেতর থেকে মনে হয়, বৃষ্টির ফোঁটা থেকে বাঁচতে ছিদ্র বন্ধ করার মতো। তথা গায়ে না পড়ুক তবুও বৃষ্টি পড়ুক। সাদৃশ্য লাইন, কথা না বলে পারলেও যেন বাঁচতে পারি এই আবদ্ধ ICU ঘরে। তার জন্য যেকোনো কিছু খরচে ও রাজি। লাখ টাকা হলেও সমস্যা নেই। হয়ত এখানেই শুধু অর্থের সার্থকতা। তাই বলা খাটে, টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী। কিন্তু ICU এর বাইরে কিভাবে ছিলাম? কে দিলো উদাস মনে খোলামেলা অক্সিজেন? যেখানে ছিল না সীমিত সিলিন্ডারভর্তি অক্সিজেন।
সবার কী উচিত নয় বাইরের অনুগ্রহের কথা মনে করা? তার সেই অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা? নিজ বিচালয়ে নিজেকে বিচারক ভেবে ভাবলে বলতে হয়, সবার তো উচিত তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। তার দোওয়া আদেশ পালন করা।
মনে তাই প্রশ্ন জাগে- সারা জীবনে আমরা যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তার বাজারমূল্য কত? শুধুমাত্র অক্সিজেনের বাজারমূল্য পরিশোধ করা কী সম্ভব? আর অন্য সকল উপকরণের কথা অনুক্তই থেকে গেল।