কলুষতা,কালিমা ভরা এই জীবন মার্গের চরাচরে
বন্দি হয়ে ধুঁকছে বিশ্বাস প্রতপ্ত তিমির কুঠরে।
সাঁতার না জানা হতভাগার ন্যায়
ডুবছে অতলে,যেন দীপ্তিহীন,তেজহীন
সূর্য ডুবছে,ঝিমুচ্ছে পড়ন্ত বিকেলে।
ধুঁকছে মন অন্ধ কুঠরে।
দাবানলে জ্বলন্ত বনের পক্ষীকূল যেমন দিশেহারা
জীবন রক্ষায় হয় দিগভ্রান্ত,হয়ে যায় আত্মহারা।
যাতনার ধাওয়ায় যখন ছুটছে দিগ্বিদিক
সারল্য কামনেচ্ছু মানবেরা,ভ্রান্ত পথিক
বলে-তোমরা এখনও পথহারা ।
চলেছে,চলছে,চলবে পরষ্পরা।
নিরাময়হীন ক্যান্সার আক্রান্ত পীড়িত যেমন উদ্ভ্রান্ত
ধরাকে আঁকড়িয়ে ধরে কাঁদে সারল্য,নেই উপায়ান্ত।
মাঝি বিহীন তরণী ভাসে সমুদ্রবক্ষে
কখনও তাড়ায় বায়ু,কখনও ঢেউ
সময় সন্দিহান কখন যায় আয়ু।
নিয়তি থাকে অনধীত।
সদ্যোজাত শিশুর নিষ্পাপ চাহনি আর পবিত্র হাসি
প্রতিজনের প্রতিজন্মে বসুমতীর আশা জাগে অহর্নিশী।
বাসনায় বুক বাঁধে-থাকবে সরলতা,নির্মলতা
পুষ্পের সাথে হাসবে মানুষ,হাসবে বসুন্ধরা
দুলবে মন,সকলে হবে নিষ্কলুষ।
সরলতা থাকবে দিবানিশি।